কিশোরীকে অপহরণ, গাড়িতে তুলে রাতভর 'গণধর্ষণ', শ্বাসরোধ করে খুন

কিশোরীকে অপহরণ করে গাড়ির মধ্যে গণধর্ষণ তারপর খুন। মর্মান্তিক এঘটনা খাস কলকাতার। ব্রোবোর্ন রোডের ফুটপাতে মায়ের পাশ থেকে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় দুই যুবক।তারপর রাতভর ওলা গাড়ির মধ্যে চলে গণধর্ষণ। ভোরের দিকে কিশোরীর শ্বাসরোধ করে তপসিয়ার খালে ফেলে দেয় দুই অভিযুক্ত। দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। 

Updated By: Aug 31, 2016, 04:36 PM IST
কিশোরীকে অপহরণ, গাড়িতে তুলে রাতভর 'গণধর্ষণ', শ্বাসরোধ করে খুন

ওয়েব ডেস্ক:কিশোরীকে অপহরণ করে গাড়ির মধ্যে গণধর্ষণ তারপর খুন। মর্মান্তিক এঘটনা খাস কলকাতার। ব্রোবোর্ন রোডের ফুটপাতে মায়ের পাশ থেকে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় দুই যুবক।তারপর রাতভর ওলা গাড়ির মধ্যে চলে গণধর্ষণ। ভোরের দিকে কিশোরীর শ্বাসরোধ করে তপসিয়ার খালে ফেলে দেয় দুই অভিযুক্ত। দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। 

ফুটপাত থেকে কিশোরীকে গাড়িতে তুলে প্রথম গণধর্ষণ। তারপর খুন। ফের বেআব্রু রাতের কলকাতার নিরাপত্তা। ঘড়িতে তখন রাত সাড়ে তিনটে। ৯ নং ব্রাবোর্ন রোডের ফুটপাতে মায়ের সঙ্গে ঘুমোচ্ছিল  বছর বারোর কিশোরী। ফুটপাতের সামনে দাঁড়ায় সাদা রংয়ের ওলা গাড়ি। ঘুমন্ত কিশোরীকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলে এক যুবক। মা পাশে থাকলেও টের পান নি কিছুই।

গাড়ির মধ্যেই 'গণধর্ষণ'
কিশোরীকে নিয়েই গাড়ি ছোটে খিদিরপুরের দিকে।  ওয়াটগঞ্জে গাড়ি থামিয়ে আকণ্ঠ মদ্যপান করে দুই চালক শঙ্কর সাউ ও গুড্ডু সিং। তারপর গাড়ির মধ্যেই কিশোরীর ওপর শুরু হয় নির্যাতন। 

রাতভর 'গণধর্ষণ'
দ্বিতীয় দফার নির্যাতন শুরু হয় পার্ক সাকার্স ফ্লাইওভারের ওপর। গাড়ি থামিয়ে কিশোরীর ওপর শুরু হয় দফায় দফায় নির্যাতন। 

শ্বাসরোধ করে খুন
রাতভর অমানবিক নির্যাতনের ধকল সহ্য হয়নি বছর বারোর মেয়েটির। ভোরের দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে তার। এরপর আর নির্যাতিতাকে বাঁচিয়ে রাখার ঝুঁকি নিতে চায়নি দুই অভিযুক্ত। শ্বাসরোধ করে খুন করার পর মেয়েটিকে তপসিয়ার খালে ফেলে দেয় দুজন। পরে তপসিয়ার খাল থেকে দেহ উদ্ধার করে পুলিস।

তদন্তে পুলিস
নির্যাতিতাকে গাড়িতে তোলার ছবি ধরা পড়ে CCTV-ক্যামেরায়। ফুটেজ থেকে হদিশ মেলে ওলা গাড়ির। সেইসূত্রেই গাড়ি দুই চালক গুড্ডু সিং ও শঙ্কর সাউকে গ্রেফতার করে পুলিস। জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করে দুই অভিযুক্ত। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাড়িটিও। দুজনের বাইরে আর কেউ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কীনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। 

.