Primary, Upper Primary: '১০-২০ লাখে চাকরি বিক্রি', প্রাইমারি-আপার প্রাইমারিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
যে টাকা দিতে পেরেছে, তাকে চাকরি দিয়েছেন। একটাই নির্দেশ ছিল যে, সাদা খাতায় শুধু রোল নম্বর লিখে জমা দিতে হবে।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: প্রাইমারি (Primary) ও আপার প্রাইমারিতে (Upper Primary) চাকরি বিক্রির অভিযোগ। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারি নিয়োগ মামলায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court)। এই মামলায় বাগদার রঞ্জনের ভূমিকা কী? তা খতিয়ে দেখবে সিবিআই।
প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাসের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই তদন্ত। মামলায় পার্টি করা হয়েছে প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসকে। তিনি ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। রঞ্জন সত্য নামে সেই পোস্টে প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারিতে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। রঞ্জন একটি কাল্পনিক নাম। আসল নাম চন্দন মন্ডল। উপেন বিশ্বাসের অভিযোগ, এই ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে অনেককে চাকরি দিয়েছেন প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারিতে। প্রাইমারির ক্ষেত্রে রফা হয় ন্যূনতম ১০ লক্ষ টাকায়। আপার প্রাইমারির ক্ষেত্রে সেটা ১৫ লাখ থেকে ১৮ লাখ, কখনও ২০ লাখ টাকায়। আর নবম ও দশম শ্রেণির ক্ষেত্রে সেই টাকার অঙ্কটাই ২৫ লাখ।
ওই ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয় যে, রঞ্জন এতটাই সত্য যে, যে টাকা দিতে পেরেছে, তাকে তিনি চাকরি দিয়েছেন। আর চাকরি দিতে না পারলে, টাকা ফেরত দিয়েছেন। একটাই নির্দেশ ছিল যে, সাদা খাতায় শুধু রোল নম্বর লিখে জমা দিতে হবে। কিছু লিখলে আর চাকরি পাওয়া যাবে না। এই বিষয়টিই সামনে তুলে আনেন মামলাকারীরা। ৮৬ জনের ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগে সরব হন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ বুধবার আদালতে জমা দেওয়া হয়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় এরপরই প্রাইমারি ও আপার প্রাইমারি নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে নির্দেশ দেন, চাকরি বিক্রির বিষয় সামনে আনতে প্রাক্তন মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস সাহায্য করবেন। সহযোগিতা করতে হবে 'রঞ্জন' চন্দন মন্ডলকেও। যদি সে সহযোগিতা না করে, তবে সিবিআই তাকে হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। কারণ, যে কোনও মূল্যে সত্য সামনে আনতে হবে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করবে সিবিআই। কত টাকায় চাকরি বিক্রি হয়েছে? কারা কারা এই লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ছিল? কত টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছে? এই সব বিষয়ে খতিয়ে দেখে তদন্তের অগ্রগতির একটি প্রাথমিক রিপোর্ট দেবে সিবিআই। ১৫ জুনের মধ্যে সেই রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। অন্যদিকে ৮৬ জনের ভুয়ো নিয়োগ নিয়ে যে অভিযোগ, সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ? তা আদালতে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।
আরও পড়ুন, Mamata Banerjee: 'কাজ, কৃত্রিম হাত ও চিকিৎসার খরচ, সরকার সব দেবে রেণুকে', জানালেন মুখ্যমন্ত্রী