আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শহরে বিকোচ্ছে জমি পুকুর
সমবায় আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে জমি।টাকা জমা দিয়েও জমি পাচ্ছেন না সদস্যরা। ভরাট হয়ে যাচ্ছে পুকুরও। এমনই তুঘলকি কাজকাবরার চলছে যাদবপুর ল্যান্ড হাউসিং কোঅপারেটিভ সোসাইটিতে। গভর্নিং বডির সদস্যদের বিরুদ্ধে দুনীর্তির অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কের দ্বারস্থ হয়েছেন সদস্যরা। মামলা করেছে মত্সদফতরও। তবুও টনক নড়েনি প্রশাসনের।
কলকাতা: সমবায় আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে জমি।টাকা জমা দিয়েও জমি পাচ্ছেন না সদস্যরা। ভরাট হয়ে যাচ্ছে পুকুরও। এমনই তুঘলকি কাজকাবরার চলছে যাদবপুর ল্যান্ড হাউসিং কোঅপারেটিভ সোসাইটিতে। গভর্নিং বডির সদস্যদের বিরুদ্ধে দুনীর্তির অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কের দ্বারস্থ হয়েছেন সদস্যরা। মামলা করেছে মত্সদফতরও। তবুও টনক নড়েনি প্রশাসনের।
সীমিত সাধ্যের মধ্যে সাধের বাড়ি। উনিশশো অষ্টআশিতে মধ্যবিত্ত মানুষকে তেমনই স্বপ্ন দেখিয়ে পথ চলা শুরু যাদবপুর ল্যান্ড এন্ড হাউসিং কোঅপারেটিভ সোসাইটির।কয়েকবছর পর থেকে কোঅপারেটিভের পরিচালন সমিতির বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে থাকে।
পরিচালন সমিতির সদস্যের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট ও কোঅপারেটিভ রেজিস্ট্রারের কাছে মামলা দায়ের করেন সদস্যরা। কোঅপারেটিভ রেজিস্ট্রারের তরফে তিনবার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর নিয়োগও করা হয়। পরিচালন সমিতির সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর। কিন্তু কোনও অজ্ঞাত কারণে দায়িত্ব নিতে পারেন নি তিনি। এমনকি আংশিক ভরাট করে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে জলাজমির একাংশও। মামলা করেছে মত্সদফতরও।
এখনও পর্যন্ত প্রায় তিনশো কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগ তুলছেন কো অপারেটিভের সদস্যরা। বিপদে পড়ছেন যাঁরা জমি বা ফ্লাট কিনছেন তাঁরাও। পুরসভা থেকে মিলছে না মিউটেশন সার্টিফিকেট । নিরুপায় হয়ে প্রতারিত কোঅপারেটিভ সদস্যরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সাংসদ , বিধায়ক সকলকেই চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু, এত বড় কেলেঙ্কারির পরও টনক নড়েনি সরকারের।