'ছোটবেলা থেকে দারিদ্র দেখেছি', চিনে নিন কলকাতার মালালাকে
পাকিস্তানের মালালার সঙ্গে কলকাতার দিলনাসির কখনও দেখা হয়নি। সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে তবু হাজারো মিল দুই কিশোরীর। মালালার মাথায় বসেছে নোবেল শান্তি পুরস্কারের মুকুট। দিলনাসি ছিনিয়ে এনেছে ইউনেস্কোর সম্মান। আজ ইন্টারন্যাশনাল গার্ল চাইল্ড ডে। আসুন, কলকাতার মালালা ইউসুফজাইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিই আপনাদের।
কলকতা: পাকিস্তানের মালালার সঙ্গে কলকাতার দিলনাসির কখনও দেখা হয়নি। সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে তবু হাজারো মিল দুই কিশোরীর। মালালার মাথায় বসেছে নোবেল শান্তি পুরস্কারের মুকুট। দিলনাসি ছিনিয়ে এনেছে ইউনেস্কোর সম্মান। আজ ইন্টারন্যাশনাল গার্ল চাইল্ড ডে। আসুন, কলকাতার মালালা ইউসুফজাইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিই আপনাদের।
পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকা নয়, কলকাতার নারকেল ডাঙার কসাই বস্তি। দিনের আলো ঠিকমতো ঢোকেনা গায়ে গায়ে গা লাগানো দশ ফুট বাই দশ ফুটের ঘুপচি ঘরগুলোয়। তবুও এখান থেকেই স্বপ্ন দেখা। স্বপ্ন দেখা আকাশ ছোঁয়ার। এগল্প এই শহরেরই আর এক দামাল মালালার। ঘিঞ্জি বস্তি সীমানা টপকে কয়েকদিন আগেই এই কিশোরী ঘুরে এসেছে মার্কিন মুলুক। ছিনিয়ে নিয়েছে ইউনেস্কোর সম্মান।
বাবা জুতোর দোকানের সামান্য কারিগর। অভাবমালালার সঙ্গে হাজারো মিল হাসিখুশি, প্রানোচ্ছল দিলনাশির। কোন প্রতিবন্ধকতার সামনেই মাথা নোয়াতে নারাজ দিলনাশি। নারকেল ডাঙার কসাই বস্তি থেকে সূদূর মার্কিন মুলুক। কী সম্ভব হল এই অসাধ্য সাধন?
ইউনেস্কোর সম্মান একধাক্কায় মনের জোর আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে সতেরোর কিশোরীর। এখন আর তাই শুধু নিজের কথা নয়, দারিদ্যের সঙ্গে লড়াই করা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদেরকে স্বাবলম্বী করার দায়িত্বও কাঁধে তুলে নিয়েছে কসাই বস্তির মালালা ইউসুফজাই।
মায়ের মুখে হাসি। অনেক স্বপ্ন। তাদের মেয়ে আরও বড় হবে। দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। শুধু নিজের পরিবারই নয় কসাই বস্তির ঘুপচি ,অন্ধকার ঘরের এই ক্ষুদে মুখ গুলোকেও স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে দিলনাসি। শিখিয়েছে কীভাবে রাতের অন্ধকার থেকে ফুটন্ত সকাল ছিনিয়ে আনতে হয়।