পুরকর্মীদের কাজ করাতে মুখ্যমন্ত্রীর নয়া দাওয়াই

পুরসভায় গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়া এবং পুর কর্মীদের বিরুদ্ধে কাজ না করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবার পুরসভার কর্মতত্‍পরতা ফেরাতে উদ্যোগী হলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। পুর কমিশনারের মাধ্যমে পুরকর্মীদের উদ্দেশে জারি করা হল সার্কুলার। নিয়ম না মানলে শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Updated By: Jun 1, 2014, 09:45 PM IST

পুরসভায় গিয়ে হয়রানির শিকার হওয়া এবং পুর কর্মীদের বিরুদ্ধে কাজ না করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবার পুরসভার কর্মতত্‍পরতা ফেরাতে উদ্যোগী হলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। পুর কমিশনারের মাধ্যমে পুরকর্মীদের উদ্দেশে জারি করা হল সার্কুলার। নিয়ম না মানলে শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কলকাতা পুরসভায় নানা কাজে গিয়ে হয়রানির স্বীকার হননি এমন লোক বোধহয় হাতে গোনা। বেশিরভাগ সময়েই শুনতে হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিক নেই অথবা পরে আসুন। তবে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের অঙ্ক মাথায় রেখে এবার কর্ম সংস্কৃতি ফেরাতে তত্‍পর হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। পুর পরিষেবার কাজে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ বর্তেছে পুরকমিশনার খলিল আহমেদের ওপর। নির্দেশ পেয়ে কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছেন পুর কমিশনার। সপ্তাহ খানেক আগে হঠাত্‍ই বালিগঞ্জের বোরো অফিসে হানা দেন খলিল আহমেদ। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষারপরও দেখা পাননি কোনও আধিকারিকের। পুরসভার মূল ভবনের অবস্থাও তথৈবচ। শেষপর্যন্ত অফিসে তালা ঝুলিয়ে চলে আসেন পুর কমিশনার। অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকেই পুর আধিকারিকরা মানছেন না কোনও নিয়মকানুন। এমনকি পুর কর্মীরাও কখন বেরোচ্ছেন, কার অনুমতি নিয়েই বা বেরোচ্ছেন তারও খোঁজ রাখেন না কেউ। এতে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত হচ্ছে পুরসভার কাজ। মৌখিকভাবে চেষ্টা করেও বদলানো যায়নি পুরসভার ছবিটা। পুরসূত্রে খবর, তৃণমূল ইউনিয়নের চাপে পড়েই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের পথ থেকে বারবার পিছিয়ে আসতে হয়েছে। পুরসভার নিয়ম অনুযায়ী

কোনও পুরকর্মী যদি পৌনে এগারোটায় অফিসে ঢোকেন তাহলে তিনি লেট মার্ক পাবেন।

যদি কোনও পুর কর্মী এগারোটা পনেরোয় অফিসে ঢোকেন তাহলে সেদিনের জন্য তাঁকে অনুপস্থিত হিসেবে গণ্য করা হবে।

তবে পুরসভার এই নিয়ম থেকে গেছে কেবল খাতায় কলমেই। বেলা গড়িয়ে গেলেও তালা ঝুলছে বিভিন্ন দফতরে। পুরসভার দীর্ঘদিনের এই ছবিটা ধরা পড়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নজরে। তাই এবার পুর কর্মীদের কাজে ফেরাতে সরাসরি সার্কুলার জরি করে শাস্তির পরোয়ানা ধরালেন পুরকমিশনারের মাধ্যমে। সার্কুলারে বলা হয়েছে

নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে না ঢুকলে এবং অফিসের নিয়মকানুন না মানলে পুর কর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে ।

অফিস টাইমের মধ্যে পুরসভার কাজ ছাড়া কোনও আধিকারিক কন্ট্রোলিং অফিসারের অনুমতি না নিয়ে বাইরে বেরোতে পারবেন না।

সেক্ষেত্রে কন্ট্রোলিং অফিসারকেই সেই পুর আধিকারিকের হয়ে জবাবদিহি করতে হবে।

নিয়ম ছিলই কিন্তু এতদিন সেই নিয়মের তোয়াক্কা করতেন না কেউই।পুর কমিশনারের এই নতুন সার্কুলার পুর কর্মীদের কতটা নিয়মের বেড়াজালে বাঁধতে পারবে তা বলবে ভবিষ্যত্‍ই।

.