Jadavpur University: সেনার পোশাকে ক্যাম্পাসে! সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে উপাচার্যকে নোটিস পুলিসের
সেনার পোশাক পরে ১০-১৫ জন ছেলেমেয়ে ভিতরে ঢুকে যায়। যখন তাদের কাছে পরিচয় জানতে চাওয়া হয়, তখন তারা জানায় যে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস নামে একটি অর্গানাইজেশনের সদস্য তারা। কিন্তু কেন তারা সেনার পোশাক পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকল? তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন অস্থায়ী উপাচার্যকে নোটিস কলকাতা পুলিসের। সেনা বাহিনীর পোশাকে কাদের দেখা গিয়েছে, সেই সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে নোটিস। যে সংস্থার লোকেরা এসেছিলেন, তার হেডকে আজকেই অভিযুক্ত হিসেবে তলব করা হয়েছে যাদবপুর থানায়। এছাড়া ডিন অফ স্টুডেন্টসকেও আজ ফের তলব করা হয়েছে যাদবপুর থানায়। লালবাজার সূত্রে খবর, গতকাল পুলিস তদন্ত করতে গেলে পুলিসের সঙ্গে বিশ্ববিবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অসহযোগিতা করে বলে অভিযোগ। একইসঙ্গে এদিন ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা আরও ৬ জনকে তলব করেছে পুলিস। ৬ জনই হস্টেলের আবাসিক।
ওদিকে, গতকাল বিকেলে অস্থায়ী উপাচার্য বলেছিলেন যে, আজ থেকে সিসিটিভি বসবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়নি। ফলে এখনও পর্যন্ত সিসিটিভি লাগানোর কাজ শুরু হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সিসিটিভি লাগানোর জন্য সরকারের কাছে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা চেয়েছ কর্তৃপক্ষ। কারণ ১০টি সিসিটিভি লাগাতে খরচ হবে এই পরিমাণ টাকা। প্রসঙ্গত, গতকাল সেনার পোশাকে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়ে বেশ কয়েকজন। একটি মানবাধিকার সংগঠনের সদস্য বলে নিজেদেরকে দাবি করেন তাঁরা। পুলিস সূত্রে খবর, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বার বার পুলিসের তরফে বলা হয় সেনার পোশাক পরে ১০-১৫ জন ছেলেমেয়ে ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে। যখন তাদের কাছে পরিচয় জানতে চাওয়া হয়, তখন তারা জানায় যে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস নামে একটি অর্গানাইজেশনের সদস্য তারা। কিন্তু কেন তারা সেনার পোশাক পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকল? তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে পুলিস কর্তৃপক্ষকে জানায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই নিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। যে সংগঠনটির সদস্য হিসেবে সেনার পোশাক পরে ছেলেমেয়েরা ক্যাম্পাসের ভিতর ঢোকে, গার্ডেনরিচে ওই সংগঠনটির অফিস রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এরকম একটি সংগঠনের সদস্যরা কীভাবে এবং কী কারণে তারা ক্যাম্পাসে ঢুকল তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এই বিষয়টি-ই স্পষ্ট করতে চায় পুলিস। যার জন্য যাদের জিজ্ঞসাবাদ করা প্রয়োজন, তাদের ডাকা হবে। ওদিকে র্যাগিং রুখতে রাজ্যপালের দাওয়াই এবার ইসরোর প্রযুক্তি। র্যাগিং রুখতে ইসরোর প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। ইসরো চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে কথাও বলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্য়পালকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাও। এই মর্মে আলোচনা করেছেন হায়দরাবাদের ADRIN-এর সঙ্গেও।
আরও পড়ুন, Chandrayaan 3: ভারতের চন্দ্রবিজয়ে বাংলার কৃতী সন্তানদের গৌরবগাথা