বিদেশ থেকে ফিরে নির্দেশ না মানলে জোর করে গৃহবন্দি, কড়া কলকাতা পুলিস
মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত হলে ভয় পাবেন না। উপযুক্ত চিকিত্সা করালে সুস্থ হয়ে উঠবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিদেশ থেকে ফিরে নিয়ম না মেনে কেউ ঘুরছেন শপিংমলে, কেউ খেলছেন টেনিস। কেউ জমিয়ে আড্ডা দিচ্ছেন। করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতার অভাবে আইনি পথেই হাঁটার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। এবার বিদেশ থেকে ফিরলে স্বেচ্ছায় ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে যেতে হবে। নচেত্ কড়া পদক্ষেপ করবে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর কলকাতা পুলিস টুইট করে বিবৃতি দিল, যিনি বা যাঁরা এই নির্দেশ অমান্য করবেন, তাঁর বা তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে রাজ্য সরকার।
করোনাভাইরাসের আঁচ পড়েনি কলকাতায়। কিন্তু গত কয়েকদিনে পাল্টে গিয়েছে গোটা চিত্র। দুই বিদেশ ফেরত তরুণের আক্রান্ত হওয়ার খবরে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। এই পরিস্থিতিতে নবান্নে এদিন মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, বিদেশ থেকে যাঁরা এসেছেন তাঁরা স্বেচ্ছায় বাড়িতে থাকুন। স্বেচ্ছায় ঘরবন্দি না থাকলে সরকার বল প্রয়োগ করতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর কলকাতা পুলিস টুইটারে বিবৃতি দিয়ে জানায়, ''এখনও পর্যন্ত যে দু’জন আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা বিদেশে থাকাকালীন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। কলকাতায় সেই সংক্রমণ বহন করে এনেছেন। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর জানাচ্ছে,গত কয়েকদিনের মধ্যে যাঁরা অন্যান্য দেশ থেকে এ-রাজ্যে এসেছেন, বিশেষ করে ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি থেকে, তাঁরা যেন অবশ্যই বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিন গৃহ পর্যবেক্ষণে (home quarantine) থাকুন। করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এখন কর্তব্য। যে বা যাঁরা এই নির্দেশ অমান্য করবেন, তাঁর বা তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করবে রাজ্য সরকার। প্রয়োজনে পশ্চিমবঙ্গ মহামারি আইন বলপূর্বক প্রয়োগ করে গৃহবন্দি থাকতেও বাধ্য করা হবে।''
#Covid_19 pic.twitter.com/bnXWSt6jav
— Kolkata Police (@KolkataPolice) March 20, 2020
মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত হলে ভয় পাবেন না। উপযুক্ত চিকিত্সা করালে সুস্থ হয়ে উঠবেন। এর পাশাপাশি আপত্কালীন ত্রাণ তহবিল গঠনের ঘোষণাও করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই তহবিলে সাধারণ মানুষ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন।
আরও পড়ুন- 'জনতা কার্ফু' ঠিকঠাক রূপায়িত হলে সংক্রমণ রোখা সম্ভব, মোদীর পাশে WHO