ঘুরপথে সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা পুলিসের

ঘুরপথে সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। নয়া নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুলিস। কন্ট্রোলরুম মেসেজের মাধ্যমে ওসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেউ যেন সংবাদমাধ্যমে মুখ না খোলেন। এই ধরনের নজিরবিহীন নির্দেশিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে।

Updated By: Aug 11, 2013, 10:18 AM IST

ঘুরপথে সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। নয়া নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুলিস। কন্ট্রোলরুম মেসেজের মাধ্যমে ওসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেউ যেন সংবাদমাধ্যমে মুখ না খোলেন। এই ধরনের নজিরবিহীন নির্দেশিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠছে।
কন্ট্রোলরুম মেসেজের মাধ্যমে নজিরবিহীন নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুলিস। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, থানার কোনও অফিসার, ওসি যেন সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ না খোলেন। কোনও বিষয়ে ডিভিশনাল কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার যারা আছেন তাঁদের কাছেই মুখ খোলার কথা বলা হয়েছে নির্দেশিকায় । শুধু তাই নয়, বহু জায়গায় এই সমস্ত অফিসারদের ওপর নজরদারির ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
শনিবার ঘুষকাণ্ডের জেরে রিজার্ভ ফোর্সের একজন কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়। এবং তার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কলকাতা পুলিসের উনত্রিশ জন সার্জেন্টকে লালবাজারে ডেকে কার্যত ধমকানো হয় । এরপরেই কন্ট্রোলরুম মেসেজের মাধ্যমে ওসি ও অফিসারদের সংবাদমাধ্যমে মুখ না খোলার নির্দেশিকা জারি করা হয় । এই নির্দেশ যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বিভিন্ন বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে সাহায্য নেয় পুলিস।
এর মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয় মৃতদেহর পরিচয় জানা যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে জঙ্গি হানা মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার। নয়া নির্দেশিকায় আর কোনও ঘটনাতেই মুখ খুলতে পারবেন না অফিসার বা ওসিরা। মুখ খুললে শাস্তির কোপে পড়বেন তাঁরা।  অর্থাত, সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারি যে নিয়ন্ত্রণ , সেটা কিছু পুলিসকর্মী বা অফিসারের ওপর প্রয়োগ করে আসলে ঘুরপথে সংবাদমাধ্যমকেই নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হলো বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কোনওরকম লিখিত সার্কুলার ছাড়া কন্ট্রোলরুম মেসেজের মাধ্যমে এই ধরনের নির্দেশিকা জারি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। অভিযোগ উঠছে, এইভাবে নির্দেশিকা জারি করে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার একটা অভ্যেস তৈরি হয়ে গিয়েছে কলকাতা পুলিসের ।

.