ওয়েব ডেস্ক:  বয়স ৪ বছর ১১ মাস। কাজল কালো চোখে উজ্জ্বল দীপ্তি। কপালে লাল সিঁদুরে টিপ আর পরনে লাল বেনারসী।  বেলুড় বাজার এলাকার মুখার্জি পরিবারের ছোট্ট মেয়ে অয়ন্তিকাই আজ জীবন্ত দুগ্গা। বেলুড় মঠে কুমারী পুজোর ‘কুমারী’ আজ সেই-ই।  কুমারী পুজোর টানেই আজ বেলুড় মঠে উপচে পড়ছে দর্শনার্থীদের ঢল।  সকাল থেকেই চিরাচরিত প্রথা আর রীতি মেনে বেলুড় মঠে পূজিত হচ্ছে ‘ছোট্ট দুগ্গা’ অয়ন্তিকা। 


 ১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠে কুমারী পুজো শুরু করেছিলেন। ৯ জন ব্রাহ্মণ কন্যাকে পুজোর মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল এই রীতি। এখন অবশ্য আর ৯ জন ব্রাহ্মণ কন্যাকে পুজো করা হয় না। স্বল্প বয়সী এক ব্রাহ্মণ কন্যাকে পুজো করা হয় রীতি মেনে। বলাই বাহুল্য, বেলুড় মঠের দুর্গা পুজোর বিশেষ আকর্ষণ কুমারী পুজো আর এক্ষেত্রে কুমারী নির্বাচনের বিশেষত্বই আলাদা। সারা দেশ থেকে এমনকি বিদেশ থেকে বেলুড় মঠে পুজোর কুমারী হওয়ার জন্য আবেদন আসে। মঠের অধ্যক্ষ মহারাজের দ্বারা গঠিত কমিটিই কুমারী নির্বাচন করে। কুমারী পুজোর মধ্য দিয়েই শুরু হয় বেলুড় মঠের দুর্গা পুজো। আগে কুমোরটুলিতে থেকে প্রতিমা আনা হলেও এখন মঠ প্রাঙ্গণেই প্রতিমা তৈরি হয়। সময় গিয়েছে, পুজোয় জৌলুস বেড়েছে আগের থেকে অনেক বেশি কিন্তু আজও শুরুর সময় থেকে চলে আসা রীতি, প্রথা মেনে চলা হয় অক্ষরে অক্ষরে। আর সেটাই যে বেলুড় মঠের পুজোর বিশেষ আকর্ষণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আজ সকাল থেকেই বেলুড় মঠে ভক্তদের সমাগম। কুমারী পুজোর টানে সকাল থেকেই  উপচে পড়ছে ভিড়। শুধু বেলুড় মঠই নয়, কামারপুকুর, জয়রামবাটিতেই কুমারীপুজোর মহাধূম। কলকাতার কয়েকটি বনেদিবাড়িতেও এখনও কুমারী পুজো হয়।