পুলিসি নির্দেশ অগ্রাহ্য করে আজ শহরে বামেদের আইনঅমান্য
পুলিসি নির্দেশ অগ্রাহ্য করে আজ আইন অমান্য করতে চলেছেন বামপন্থীরা। আর সেই কর্মসূচি ঠেকাতে নজিরবিহীন উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুলিসও। রাজ্য পুলিসের কাছ থেকে ধার করে আনা হচ্ছে দুশ জন মহিলা পুলিসকর্মীকে। ধার করা হচ্ছে জলকামানও। চাপে পড়ে, কলকাতা পুলিস আইন অমান্যকারীদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পথও এড়াতে চাইছে।
পুলিসি নির্দেশ অগ্রাহ্য করে আজ আইন অমান্য করতে চলেছেন বামপন্থীরা। আর সেই কর্মসূচি ঠেকাতে নজিরবিহীন উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পুলিসও। রাজ্য পুলিসের কাছ থেকে ধার করে আনা হচ্ছে দুশ জন মহিলা পুলিসকর্মীকে। ধার করা হচ্ছে জলকামানও। চাপে পড়ে, কলকাতা পুলিস আইন অমান্যকারীদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার পথও এড়াতে চাইছে।
পরিকাঠামোর অভাব দেখিয়ে কলকাতা পুলিসের এই নজিরবিহীন নির্দেশনামা। সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর পর আদতে চাপে পড়ে গিয়েছে কলকাতা পুলিস। যেকারণে, এমন নির্দেশিকা বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, নিজেদের বাঁচাতে আমুল বদলে ফেলা হল পুলিসি বন্দোবস্তকেও।
গত দোসরা এপ্রিল, এসএফআইসহ অন্যান্য বামপন্থী সংগঠনের আইন অমান্য আন্দোলন ঠেকাতে পুলিসি বন্দোবস্তের নির্দেশিকা ছিল এমনটাই।
প্রায় দু মাসের মাথায় বামপন্থীদের এই আইন অমান্য আন্দোলনে পুলিসের যে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে, তাতে এই আইন অমান্যকে, ল ভায়োলেন্স নয়, বলা হয়েছে সিভিল ডিসওবিডিয়েন্স প্রোগ্রাম।
বামেদের এই আইন অমান্য আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বড়সড় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেছে কলকাতা পুলিস।
বাহান্নটি পুলিস পিকেট থাকবে একজন অ্যাডিশনাল সিপির নেতৃত্বে ২৬ জন ডিসি(ডেপুটি কমিশনার) ও ২৬ জন এসি(অ্যাসিসটেন্ট কমিশনার) থাকবেন যা আগে কখনও হয়নি।
২০০ জন মহিলা পুলিস নেওয়া হচ্ছে রাজ্য পুলিসের কাছ থেকে। এর মধ্যে ১৫০ জন থাকবেন রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে
পশ্চিমবঙ্গ পুলিসের কাছ থেকে ২টি জলকামানও আনা হচ্ছে। একটি থাকবে আকাশবাণী ভবনের সামনে, একটি ডেকার্স লেনে।
৫০ জনকে রাখা হচ্ছে লালবাজার কন্ট্রোল রুমে।
মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স রাখা হচ্ছে ৩ জায়গায়।শিয়ালদহ স্টেশন, টি বোর্ড, কলেজ স্কোয়ার।
থাকবেন তিরিশ জন রোবো কপ
ছবি তোলার জন্য থাকবে ৪টি ভিডিওগ্রাফি টিম ওয়াই রোড, রানি রাসমণি অ্যাভেনিউ, গান্ধী মূর্তি ও মেট্রো চ্যানেলে।
থাকবে চারটি ট্রমা কেয়ার অ্যাম্বুলেন্সও
সুদীপ্ত গুপ্তের মৃত্যুর ছায়া থেকে এখনও বেরোতে পারেনি কলকাতা পুলিস। আর সেকারণেই আইন অমান্যকারীদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে এই নির্দেশিকায় কোনও উল্লেখ নেই। গত দোসরা এপ্রিলের নির্দেশিকা অনুসারে দেখা যাচ্ছে, আর আর অ্যাভেনিউতে কর্ডন করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিসি। অফিসার এবং কর্মীরা রাস্তার দুটি দিকেই পজিশনে থাকবেন। প্রথম কর্ডন ভেঙে যখনই আইন অমান্যকারীরা বাহিনীর তৈরি ফাঁকা জায়গায় ঢুকবেন তখনই তাঁদের গ্রেফতার করতে হবে। কর্জন ভাঙার আগেই বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করতে হবে যাতে তাঁরা এমন কাজ না করেন এবং তা করলে তাঁদের গ্রেফতার করা হবে ও আইন অনুসারে ব্যবস্থা নিতে হবে।
পুলিস অ্যারেঞ্জমেন্ট এগারোশ সাতাত্তর অনুসারে, কোনও কর্ডন করা বা তা ভাঙলে গ্রেফতার করার কোনও উল্লেখ নেই। বরং আইন অমান্য করার জায়গায় আনা হচ্ছে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে। অর্থাত্ গ্রেফতারের ঘোষণা করে আইনঅমান্যকারীদের ফের ছেড়ে দেওয়ার পথেই হাঁটতে চায় কলকাতা পুলিস। শেষপর্যন্ত সেই ব্যবস্থা কার্যকর না হলে এবার আর কোনও বাস নয়, মোট কুড়িটি প্রিজন ভ্যানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে প্রিজন ভ্যানে বন্দিদের পাহারার দায়িত্বে থাকবেন একজন এএসআই এবং ২জন কনস্টেবল। সবমিলিয়ে আইন অমান্য আন্দোলন বন্ধ করার নির্দেশিকা জারি করেও যথেষ্টই চাপে কলকাতা পুলিস।