মৌমিতা চক্রবর্তী


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একলা চলো-র পক্ষে এবার কংগ্রেসের একাংশ!


বিশিষ্ট আইনজীবী ও সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের আচরণে ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেসের একটি মহল। মেইল করে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর কাছে বিকাশরঞ্জন সম্পর্কে অভিযোগ করলেন তারা। তাঁদের দাবি সিপিএমের সঙ্গে জোট সম্পর্ক বিবেচনা করে দেখা হোক।


কেন এমন ক্ষোভ? অতীতের সাঁইবাড়ি হত্যাকাণ্ড নিয়ে সম্প্রতি একটি পোস্ট শেয়ার করেন সিপিএম নেতা ও কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। সেই দীর্ঘ পোস্টে বিভিন্ন জায়গায় কংগ্রেসি গুন্ডা-সব কংগ্রেস বিরোধী একাধিক শব্দ ছিল। তাতেই তীব্র ক্ষোভের সৃষ্ট হয় রাজ্য কংগ্রেসে। এনিয়ে সূর্যকান্তর কাছে নালিশ করেন কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য।


আরও পড়ুন-শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকের পরেই 'শাহি' দরবারে ধনখড়, দিল্লি যাত্রা নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা  


উল্লেখ্য, ওই ফেসবুক পোস্ট নিয়ে বিকাশবাবু বলেছিলেন। সাঁইবাড়ির ঘটনা একটি অতীত। অতীতকে অস্বীকার করে কোনও লাভ নেই। ওই পোস্ট নিয়ে অনুতাপের কোনও কারণ নেই। এখনও সেই অবস্থানেই অনড় বিকাশরঞ্জন।


বিকাশবাবুর(Bikashranjan Bhattacharyya) ওই মন্তব্যের পরও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব অপেক্ষা করছিলেন সিপিএমের তরফে বিকাশের ওই কর্মকাণ্ডের কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয় কিনা। এনিয়ে তারা একটি মেইলও করেন। কিন্তু তার কোনও জাবাব পাওয়া যায়নি বলে খবর। কংগ্রেসের বক্তব্য প্রথম মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ও পরে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য-পরপর দুদিন দুই সিপিএম নেতা সাঁইবাড়ি ঘটনার উল্লেখ করেছেন। এটাকে খুব সরলভাবে দেখতে তারা রাজী নন।  আপাতভাবে ওইসব পোস্ট দুই সিপিএম নেতার পোস্ট বলে মনে হলেও তা সিপিএম দলের মত কিনা তা তারা জানাতে চান।


আরও পড়ুন-পঞ্জাবে ধুন্ধুমার! Amarinder-এর বাড়ির বাইরে বিক্ষোভে Badal, আটক করল পুলিস


সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে লেখা মেইল-এ বলা হয়েছে, প্রদেশ কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মীরা ওই ঘটনায় শুধু ক্ষুব্ধই নয়, তারা অপমানিত। এরকম এক পরিস্থিতিতে সিপিএমের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার কথা ভাবুন।  মূলত একলা চলো-র পক্ষেই তাঁরা সওয়াল করেছেন। এখানেই তারা থেমে থাকেননি। তাঁরা তাইছেন আলিমুদ্দিন এর একটা জবাব দিক।



এনিয়ে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, এসব কথার কোনও অর্থই হয় না। কোনও বাহানা করে লাভ নেই। তারা নিজেরাই এখন একলা চলতে চাইছেন। এর সঙ্গে জোটের সঙ্গে সম্পর্ক নেই। আমার পোস্টের জন্য জোট সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে না। আগামী দিনের কথা ভেবে জোট করা হয়েছে। দেশ, দেশের সংবিধান, ধর্ম নিরপেক্ষতা রক্ষা করা দায়িত্ব বলে যারা মনে করবেন তারা জোটে থাকবেন। যারা তা চাইবেন না তারা তাদের নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি চাই দেশের মানুষ মোদীর মতো একজন স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। সেটাই সময়ের দাবি। সামনের দিকে তাকিয়ে চলতে হয়। তবে ইতিহাস ভুলে যাওয়ার কোনও মানে হয় না। 


সোনিয়াকে পাঠানো মেইল নিয়ে অধীর চৌধুরী(Adhir Chowdhury) বলেন, কী মেইল পাঠানো হয়েছে তা আমার জানা নেই। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আগামী ১৯ জুন আলোচনায় বসব। নির্বাচন ও পরবর্তী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। বাকী কে কোথায় মেইল পাঠাচ্ছে তা আমার জানা নেই। জোটের উপরে কোনও প্রভাব পড়ছে না।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)