মহিলা ও সংখ্যালঘুতে আস্থা রেখে কলকাতার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ বামেদের
আগামী এপ্রিল মাসে কলকাতা সহ ৮৯ টি পুরসভার নির্বাচন। ভোটের দামামা বেজে উঠতেই নিজেদের রণকৌশলকে ডেলে সাজাচ্ছেন রাজনীতির কারবারিরা। ৮ মার্চ যখন ব্রিগেডে সমাবেশ করছে সিপিআইএম, সেদিনই কালীঘাট থেকে কলকাতা পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭ দিন পর মমতা বন্দোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক রণকৌশলেই তাকে কার্যত পরাস্ত করল বামেরা। ১২৫ টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বামেরা। যার মধ্যে ৭১ জন মহিলা এবং ২১ সংখ্য লঘু।
ওয়েব ডেস্ক: আগামী এপ্রিল মাসে কলকাতা সহ ৮৯ টি পুরসভার নির্বাচন। ভোটের দামামা বেজে উঠতেই নিজেদের রণকৌশলকে ডেলে সাজাচ্ছেন রাজনীতির কারবারিরা। ৮ মার্চ যখন ব্রিগেডে সমাবেশ করছে সিপিআইএম, সেদিনই কালীঘাট থেকে কলকাতা পুরসভার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭ দিন পর মমতা বন্দোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক রণকৌশলেই তাকে কার্যত পরাস্ত করল বামেরা। ১২৫ টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বামেরা। যার মধ্যে ৭১ জন মহিলা এবং ২১ সংখ্য লঘু।
মহিলদেরই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে রাজ্য বামফ্রন্ট। দলের পুরাতন পুরপ্রতিনিধি সহ আরও নুতন মহিলা মুখের নাম রয়েছে বামফ্রন্টের তালিকায়। সিপিআইএম রাজ্য কমিটি সদস্যা ও কলকাতা পুরসভার বিরোধী দলনেতা রুপা বাগচি বলেন, " আমাদের যারা জয়ী মহিলা পুরপ্রতিনিধি ছিলেন, তাঁরা সহ আরও নতুনদের যুক্ত করা হয়েছে এবারের নির্বাচনে। প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধি যেমন, লক্ষ্মী মনি ব্যানার্জি, জয়শ্রী দেব নন্দি এবার বামেদের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। প্রার্থী তালিকায় রয়েছে একেবারে তরুণ প্রজন্মও। ৩০ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী হয়েছেন অপর্না দাস, যার বয়স ২৪ বছর।"
মহিলাদের ওপর বেশি করে জোর দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রুপা বাগচি বলেন, " সাধারণ ভাবে মহিলারা তাদের প্রাকৃতিক নিয়মেই সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করেন। আমরা রাজ্যে যে সততার প্রতীক কে কয়েক বছর ধরে দেখছি তাতে মানুষ অতিষ্ঠ। আশা করছি মহিলারাই কলকাতা পুরসভাকে দুর্নীতিমুক্ত করবে এবং পুরসভার সমস্ত পরিষেবা মানুষের কাছে তুলে দেবে।"
একনজরে বামেদের প্রার্থী তালিকা(ক্রমানুসারে):
রাজেশ গুপ্তা, শ্রাবনী ব্যানার্জি, কনীনিকা বসু ঘোষ, পুতুল বিশ্বাস, প্রতীপ দাশগুপ্ত, পিঙ্কিরানী সাউ, সলিল চ্যাটার্জি, পার্থ পাইন,দীপিকা ভট্টাচার্য, করুণা সেনগুপ্ত,পিয়ালি পাল, সাগরিকা ব্যানার্জি, বিরতি দত্ত, কল্যাণ মুখার্জি, দীপা সাহা, সুজিত দেব, সুখেন চৌধুরী, শ্রাবণী চক্রবর্তী, শ্যামল দত্ত, সুধাংশু শীল, সুজাতা সাহা, সত্যনারায়ণ সিং, ভারতী ঝা, সারিকা সাউ, রবি সোনকার, রাহুল ভট্টাচার্য, তিথি মুখার্জি, সৌমিত্র চক্রবর্তী, সুদীপ্ত বিশ্বাস, অপর্ণা দাস, মৃত্তিকা দে, রাজীব বিশ্বাস, ঝুমা দাস, সমীর চক্রবর্তী, মৌসুমি ঘোষ, মৌমিতা দাস, তপন চক্রবর্তী, মহম্মদ উমর, কাবেরী ভট্টাচার্য, রীতা চৌধুরী, মধু জৈন, ফিরদৌস রেয়াজ, আকবর হোসেন, ভোলাপ্রতাপ সোনকার, তৃপ্তি দাস সরকার, যুথিকা বড়ুয়া, সপ্তর্ষি ব্যানার্জি, গৌতম ব্যানার্জি, রুমা দাস, নজরুল ইসলাম, অঞ্জলি রোজারিও, তারিক হোসেন, হাবিবুর রহমান, চৈতালি ভউমিক নায়ার, বাবলু কর, লক্ষ্মীমণি ব্যানার্জি, জয়শ্রী দেব নন্দি,মনজর এহসান, ইফতিকার ইউসুফ, আলেয়া মেদা, সিকান্দর আজম, ফরজানা চৌধুরী, নিবেদিতা শর্মা, প্রসেনজিৎ ঘোষ, দীপ দাস, বন্দিতা বল, সুশম্ভর মণ্ডল, সুজয় গুহ, সুপ্রিয়া সিনহা, স্বপ্না ব্যানার্জি, বিলকিস বোস, মনোরমা রায়, শামিমা রায়ান খান, নৌসাদ আলম, রেণু দেবী রজক, রাজেন্দ্র রাজভর, সৌমিতা চক্রবর্তী,সন্তোষ ওঝা, ডোরা মুখার্জি, অরুণ চ্যাটার্জি, ত্রিবেণী দাস, অরুণ বসু, সোমা দে, উজ্জ্বল দে, অনুপ গোস্বামী, অন্নপূর্ণা দাস, মধুছন্দা দেব, বিকাশ কর, তবসুম খাতুন, সুদীপ চ্যাটার্জী, সুস্মিতা রায়, মালা সেনগুপ্ত, মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তি, দেবাশিস মুখার্জি, মীরা ঘোষ,শুভঙ্কর বাগচি, স্বপ্না ব্যানার্জি,অজয় অধিকারী, মিতা চ্যাটার্জী, অরিন্দম চক্রবর্তি, আশিষ মন্ডল, কয়েল বিশ্বাস, উৎপল চ্যাটার্জী, সুধীর মালাকার, অসীম শীল, প্রিয়াঙ্কা সরকার, নীহার ভক্ত, মৌসুমি চ্যাটার্জি,তপন বসু, রঞ্জন দাশগুপ্ত, শুক্লা ঘোষাল, দোপাটি চ্যাটার্জী, ইয়াসমিন সুলতান, বিজলি সেন, ইফতিকার আহমেদ, আমিনা বিবি, শাকিল মৈনুদ্দিন, ইকবাল হোসেন, নাজিয়া হাসান, সুধীর ব্যানার্জি, সৌভিক চৌধুরী, ফুলু মণ্ডল।
যে যে ওয়ার্ডে প্রার্থী ঘোষণা হইনি:
৫১ ,৭২,৭৪, ৮২,১০১-১১৪,১১৭, ১২৮