নিজস্ব প্রতিবেদন: বাম যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার চলল আজ। রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ডোরিনা ক্রসিং এলাকা। কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল ডোরিনা ক্রসিংয়ে আসতেই পুলিস বাধা দেয় । তারই জেরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় মিছিলকারীদের। এরপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিস। এছাড়াও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয় এবং জলকামান ছোড়া হয়। লাঠির ঘায়ে আহত হয়েছেন বেশ কিছু বাম কর্মী। কাঁদানে গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


আবার, পুলিসের তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয় যে, পুলিসকে লক্ষ্য করে ইঁট ছোড়া হয় মিছিলের তরফ থেকে। আহত হন ডি সি যাদবপুর রশিদ মুনির খান। পুলিসের দাবি, মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে মাইকিং করা হয়। তারপর ছোড়া হয় জলকামান। করা হয় লাঠিচার্জ।




বাম ছাত্র-যুবরা আগেই হুঙ্কার তুলেছিলেন ‘খেলা হবে’। সেই স্লোগান নিয়েই মূল কর্মসূচি শুরু করেন কলেজ স্ট্রিট থেকে।সেখানে জড়ো হয় ১০ টি বাম ছাত্র-যুব সংগঠন। উদ্দেশ্য নবান্ন অভিযান। নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুটা আগেই নবান্নের গেটে পৌঁছে যান বেশ কয়েকজন DYFI কর্মী। নবান্নে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিস তাঁদের আটকে দেয়। শুরু হয় খণ্ডযুদ্ধ। পুলিস গ্রেফতার করে ৩ বাম যুব কর্মীকে।



এরপর পাঁশকুড়ার সিপিআইএম বিধায়ক ইব্রাহিম আলি সহ আরও বেশ কিছু বাম সমর্থক জোর করে নবান্নে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিস ৯ জনকে গ্রেফতার করে। পুলিসের সঙ্গে আবার একদফা ধস্তাধস্তি শুরু হলে তাঁদের শিবপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।


আন্দোলনকারীদের আটকানোর জন্য সবরকমের ব্যবস্থা নেয় পুলিস। হাওড়াতেই মোট ৬ টা জায়গায় ব্যারিকেড করে পুলিস। ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চালানো হয়। প্রস্তুত রাখা হয় জলকামান। হাওড়া ব্রিজের পাশে পড়ে থাকা ইঁট-পাটকেল জেসিবি মেশিন দিয়ে সরিয়ে দেয় পুলিস। এত প্রস্তুতির পরেও রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। আহত হল বেশ কিছু সংখ্যক বাম কর্মী, আহত হন পুলিসও।