ধর্মতলায় ধর্নামঞ্চে মমতা, ৩টি ব্যারিকেড ভেঙে টিএমসিপি-র মুখোমুখি বাম ছাত্ররা

 শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী। 

Reported By: কমলিকা সেনগুপ্ত | Updated By: Jan 12, 2020, 12:11 AM IST
ধর্মতলায় ধর্নামঞ্চে মমতা, ৩টি ব্যারিকেড ভেঙে টিএমসিপি-র মুখোমুখি বাম ছাত্ররা

নিজস্ব প্রতিবেদন: এনআরসি ও সিএএ বিরোধী ধর্নামঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ঠিক তখনই তিন তিনটে ব্যারিকেড ভেঙে মঞ্চের দিকে গেলেন বাম-ছাত্র যুবরা। সন্ধেয় ধর্মতলায় ভিন্ন শিবিরের ছাত্র-যুবদের মুখোমুখি আসায় বাঁধল ধুন্ধুমার। পরিস্থিতি দেখে মঞ্চ থেকে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দিলেন তৃণমূল নেত্রী। তা সত্ত্বেও দমানো যায়নি বাম ছাত্র-যুবরা। প্রশ্ন উঠল, পুলিসের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েও।           

রাজ্যে নরেন্দ্র মোদী এসেছেন। ধর্মতলায় বিক্ষোভ মিছিল করছিল বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি। ওদিকে রানি রাসমনিতে মঞ্চ বেঁধে ধর্নায় বসেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সন্ধে নাগাদ বামপন্থী ছাত্রছাত্রীদের মিছিল ঘুরে যায় টিএমসিপি-র মঞ্চের দিকে। পুলিস কিছু বোঝার আগে তিনটে ব্যারিকেড ভেঙে তৃণমূলের মঞ্চের কাছে চলে যান বামপন্থী ছাত্র-যুবরা। এরমধ্যেই খবর পেয়ে মঞ্চে চলে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্ত থাকার আবেদন করেন। কিন্তু তখন পাল্টা স্লোগান দিতে থাকেন বামপন্থী ছাত্র-যুবরা। মোদী বিরোধিতায় তাঁর অবস্থান নিয়ে আসতে থাকে প্রশ্ন। 
  

শান্ত মাথায় পরিস্থিতির মোকাবিলা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে মুখোমুখি সংঘাত ঠেকালেন। বার্তা দেন, আমি আপনাদের একটা কথা বলি শুনুন, ছাত্রছাত্রীরা ডোরিনা ক্রসিংর একটা আন্দোলন করছে। আপনারাও করছেন। ইস্যু এক  ভেদাভেদ করা উচিত নয়। রাস্তায় বসে আন্দোলন করুন। ক্যাম্পাসে করুন আন্দোলন করুন না। কেউ কোথাও বাধা দেবে না। এদের এদের (টিএমসিপি) মতো আন্দোলন করতে দিন।    

এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন,''আমরা নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ করে আনিনি। উনি রাস্তাঘাটেও যাতায়াত করেননি। প্লেনে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী আসেন, রাষ্ট্রপতি আসেন, তখন দেখা করতে যেতে হয়। দিতে হয় মিনিস্টার ইন ওয়েটিং। সংখ্যালঘুদের সঙ্গে ওদের গন্ডগোল। ফিরহাদ হাকিমকে পাঠিয়েছিলাম। মিলেনিয়াম পার্কের সামনে এক লক্ষ লোক আটকে ছিল। আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে রাস্তা খোলানোর ব্যবস্থা করেছি। ৪টে অনুষ্ঠানে ডেকেছিল। একটায় গিয়েছি। সময় চেয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। রাজ্য ৩৮ হাজার কোটি টাকা বকেয়া। আমি গিয়ে বলে এসেছি, এনপিআর মানব না, ক্যাব মানব না। আমি যখন শুনেছি গন্ডগোল হচ্ছে, তখন চলে এলাম। সেপ্টেম্বরেই প্রস্তাব এনেছিলাম, এনআরসি, এনপিআর, সিএএ মানব না।''  

আরও পড়ুন- দেখুন ছবিতে: সিএএ নিয়ে দুশমনি কিন্তু সৌজন্যে ঘাটতি নেই, মোদীর কাছে শিল্পপতিরাও 

.