কেন্দ্রের অঙ্গুলিহেলনে রাজ্যের মানুষকে হেনস্তা করেছে, কমিশনকে কড়া চিঠি মমতার

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরাকে কড়া চিঠি দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Updated By: May 18, 2019, 08:46 PM IST
কেন্দ্রের অঙ্গুলিহেলনে রাজ্যের মানুষকে হেনস্তা করেছে, কমিশনকে কড়া চিঠি মমতার

নিজস্ব প্রতিবেদন: শেষ দফার ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চিঠি পাঠালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরাকে লেখা ওই চিঠিতে পক্ষপাতহীন, শান্তিপূর্ণ ও কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়া ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

 শেষ দফার আগে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে রাজীব কুমারকে। কমিশনের এমন সিদ্ধান্তে যারপরনাই ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেত্রী সেদিনই অভিযোগ করেছিলেন, মোদী-শাহের কথায় চলছে কমিশন। এটা বকলমে তাঁদের নির্দেশ। সেই অভিযোগের পর এবার নির্বাচন কমিশনকে কড়া চিঠি দিলেন মমতা। সুনীল আরোরাকে চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গে শেষ দফার আগে একাধিক বেআইনি, অসাংবিধানিক ও পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অযাচিত হস্তক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ও শাসক দল। এর ফলে শুধু রাজ্য সরকারই নয়, আধিকারিক ও রাজ্যের সাধারণ মানুষকে হেনস্তা ও আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে। 

কলকাতায় অমিত শাহের রোড শো-র অনুমোদন দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। তাঁর অভিযোগ,''১৪ মে ১৪৪ ধারা ভেঙে অমিত শাহকে রোড শো করার অনুমতি দিয়েছিলেন কমিশন নিযুক্ত কলকাতার নতুন কমিশনার। কলকাতার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস এবং রাজ্য সরকার ও সাধারণ মানুষকে অপদস্থ করার লক্ষ্যে রোড শোয়ের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল''।

কমিশন নিযুক্ত দুজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিকদের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, আইন ভেঙে দুজন প্রাক্তন সরকারি আধিকারিককে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করেছে কমিশন। নানা সময়ে দুই অফিসার কেন্দ্রীয় সরকার ও শাসক দলের প্রতি পক্ষপাত করেছেন। প্রতিটি বিষয় কমিশনের সামনে তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু বিচার মেলেনি। 

পশ্চিমবঙ্গের ৯টি কেন্দ্রে শেষ দফার ভোটগ্রহণ হতে চলেছে আগামিকাল অর্থাত্ রবিবার। এই দফায় কেন্দ্রীয় সরকার ও কেন্দ্রের শাসক দলের হস্তক্ষেপ ছাড়া শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার আবেদন করেছেন মমতা। একইসঙ্গে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলি ও যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষার এবং বিরোধী দলগুলির সম্মানের কথাও কমিশনকে মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

মুখ্যমন্ত্রীর পর শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধীও কমিশনের বিঁধেছিলেন। কংগ্রেস সভাপতি দাবি করেছিলেন, কমিশনের কয়েকটি সিদ্ধান্ত পক্ষপাতমূলক বলে তাঁর মনে হয়েছে। তবে এদিন একধাপ এগিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে নিজের 
ক্ষোভ উগরে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, শেষ দফার ভোটের আগে কমিশনের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে দিলেন মমতা। 

আরও পড়ুন- ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা, মোদীকে চিঠি অভিষেকের
  

.