বিদ্যাসাগর কলেজের ভিতরে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে ভাঙল ঈশ্বরচন্দ্রের মূর্তি
অমিত শাহের রোড শো ঘিরে রণক্ষেত্র কলেজ স্ট্রিট ও বিধানসরণী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিদ্যাসাগর কলেজের ক্যাম্পাসে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে ভাঙল ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তি। তৃণমূলের অভিযোগ, অমিত শাহের রোড শোয়ে অংশগ্রহণকারী বিজেপির লোকজনই ভাঙচুর চালায়। বিজেপির দাবি, অমিত শাহের গাড়ি পেরিয়ে যাওয়ার পর কলেজের ভিতর থেকে ইটবৃষ্টি শুরু করে তৃণমূল। তাদের কর্মীরা নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি। ইট ছোড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, কালো পতাকা দেখানো হয়েছিল। অমিত শাহের গাড়ি চলে যাওয়ার পর কলেজে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করেন বিজেপির সমর্থকরা।
অমিত শাহের রোড শো চলাকালীন কালো পতাকা দেখান বিদ্যাসাগর কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা। এরপরই দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। বিজেপির অভিযোগ, বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়েছে। এরপরই তাদের কর্মীরা ঢুকে পড়ে কলেজের ভিতরে। বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তাদের দাবি, কালো পতাকা দেখানো হয়েছিল। কিন্তু ইট ছোড়া হয়নি। বরং বিজেপি কর্মীরাই ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে। পড়ুয়াদের মারধর করে। বিদ্যাসাগরের বাইরে তিনটি বাইকও জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
তার আগে কলেজস্ট্রিটে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সঙ্গে একপ্রস্ত বিবাদে জড়ান বিজেপি কর্মীরা। অমিত শাহের সভা কলেজ স্ট্রিটে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছতেই কালো পতাকা দেখাতে শুরু করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। আর তখনই গার্ডরেল ভেঙে মারমুখী হয়ে ওঠেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। দুপক্ষের বিবাদ থামাতে নাজেহাল অবস্থা হয় পুলিসের। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সদর দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরেও দুপক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল ছোড়ছুড়ি চলতে থাকে। বিজেপির অভিযোগ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর থেকে শুরু হয় ইট-পাটকেল ছোড়া।
আরও পড়ুন- ছবিতে: অমিত শাহের রোড শোয়ে কলকাতার রাজপথে প্রথমবার গেরুয়ার দাপট