লাক্সারি ট্যাক্সির মতই লাক্সারি বাস পরিষেবা, চলবে সারা রাত, অ্যাপ দিয়ে বুক করা যাবে আসন
ওয়েব ডেস্ক: রাত একটু বাড়তেই রাস্তায় কমতে থাকে সরকারি বাস। বেসরকারি বাসও সংখ্যায় কম। নিত্য যাত্রীদের বিভিন্ন রুটে বাস না পাওয়ার অভিযোগ দিন দিন বাড়ছে। আর সে কথা মাথায় রেখেই, যাত্রী হয়রানি কমাতে ব্যবস্থা নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।
রাতের দিকে শহরে সরকারি বাসের সংখ্যা অনেকটাই কমে যায়। বিভিন্ন বাস স্টপেজে চোখে পড়ে যাত্রীদের ভিড়। এর প্রধান কারণ, JNNURM প্রকল্পে সিএসটিসির ৬৬৩টি বাস থাকলেও পিক আওয়ারে চলে ৫০০টি বাস। রাত আটটার পর সেই সংখ্যাটা আরও কমে যায়।
যাত্রী হয়রানি রুখতে তাই লাক্সারি ট্যাক্সি পরিষেবা দেয় যেসব সংস্থা, তারাই এবার শহর ও শহরতলিতে আনতে চলেছে তাদের লাক্সারি বাস পরিষেবা। লাক্সারি ট্যাক্সির মতই অ্যাপসের মাধ্যমে বাসে আসন সংরক্ষণ করা যাবে।
নির্দিষ্ট রুটে চলবে এই বাস। দিনে অথবা রাতে, মোবাইলে অ্যাপসের মাধ্যমে যে কেউ জানতে পারবেন যে তাঁর গন্তব্যের রুট কোনটি। সেই রুটে সেই সময় কোন বাস রয়েছে এবং সেটি কোন স্টপেজে দাঁড়াবে। অ্যাপসের মাধ্যমে সেই বাসের আসন সংরক্ষণ এবং ভাড়া সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যও পেয়ে যাবেন সংশ্লিষ্ট গ্রাহক।
পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গেছে,স্কুলবাস, পুলকার কিংবা যেকোনও ট্র্যাভেল এজেন্সির ভলভো বাসকে এই কাজে ব্যবহার করা হবে। তবে প্রত্যেকের কাছেই কন্ট্র্যাক্ট ক্যারেজ পারমিট থাকতে হবে। পরিবহণ দফতরের বক্তব্য অনুযায়ী, যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কোনও বেসরকারি সংস্থাও যদি ছোট বাস চালাতে চায়, কাগজপত্র খতিয়ে দেখে তাদেরও ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
লাক্সারি বাস পরিষেবা নিয়ে ইতিমধ্যে একাধিকবার বৈঠকে বসেছে লাক্সারি ট্যাক্সি পরিষেবা সংস্থাগুলি। সরকারের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনার পর ছাড়পত্র পেলেই শহর ও শহরতলির রাস্তায় মিলবে লাক্সারি বাস পরিষেবা।
তবে এই পরিষেবায় স্কুলবাস বা পুলকার কেন? কারণ, এদের কাছে কন্ট্র্যাক্ট ক্যারেজ পারমিট রয়েছে। বিষেযত বিকেল চারটের পর এদের আর কোনও কাজ থাকে না। তাই এই বাসগুলোকে আরও একটু উন্নত মানের করে, লাক্সারি পরিষেবায় নামানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ট্র্যাভেল এজেন্সির বাসগুলোরও কন্ট্র্যাক্ট ক্যারেজ পারমিট থাকে। পর্যটকদের জন্যও এই বাস ব্যবহার করা হয়। তাই এদেরও অ্যাপস পরিষেবায় কাজে লাগানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এই লাক্সারি বাস পরিষেবা চালু হলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বেসরকারি বাস সংগঠনের মালিকরা। তাদের বক্তব্য, লাক্সারি বাসের ভাড়া বেশি হলে তারাও চুপ করে বসে থাকবে না।