মদনের মেজাজ খুশ রাখতে ব্যবস্থার ত্রুটি নেই জেল কর্তৃপক্ষের
জেলে ঢোকার প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে, গতকালের মনমরা মদন মিত্র আজ ফুরফুরে মেজাজেই। আর মদনের মেজাজ খুশ রাখতে ব্যবস্থার ত্রুটি নেই জেল কর্তৃপক্ষের তরফে।
কলকাতা: জেলে ঢোকার প্রথম ধাক্কা কাটিয়ে, গতকালের মনমরা মদন মিত্র আজ ফুরফুরে মেজাজেই। আর মদনের মেজাজ খুশ রাখতে ব্যবস্থার ত্রুটি নেই জেল কর্তৃপক্ষের তরফে।
এসএসকেএমের বিলাসবহুল উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের জেল হাসপাতাল। হাসপাতাল পাল্টালেও খাতির যত্নে এতটুকু এদিকওদিক হয়নি।
রবিবার রাতের মেনু ছিল চিকেন কষা আর রুটি। বাড়ি থেকেই এসেছিল খাবার। রবিবার সকাল থেকেই দৃশ্যতই মনমরা মদন রাত থেকেই অনেকটা স্বাভাবিক। রাতে ঘুম হয়েছিল ভালই।
সোমবার ব্রেকফাস্টে মন্ত্রী মশাইয়ের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ওমলেট, পাউরুটি আর কলা। জেল হাসপাতালে থাকলেও খাতায় কলমে এখনও তিনি রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এক মন্ত্রী। তাই হাসপাতালের বাইরের জগতে কোথায় কী ঘটছে তা তো জানতেই হবে। তাই মন্ত্রীর জন্য পাঁচ পাঁচটি কাগজ বরাদ্দ হয়েছে। তিনটি বাংলা ও দুটি ইংরেজি কাগজ পড়ে মদন মিত্র তখন এক্কেবারে আপডেটেড। এরপর তেল মালিশের পালা।
একজন মন্ত্রীকে হাতের কাছে পাওয়ার সুযোগ বড় একটা হয়না। তাই সোমবার সকালে স্নানের আগে মন্ত্রীকে তেল মাখিয়ে দলাই মালাই করেন তিন তিনজন কয়েদি। শীতের সকালে ভাল করে তেল মেখে স্নান সারলেন মন্ত্রী। কিন্তু মন্ত্রীমশাইকে সামনে পেয়ে সহজে তো ছেড়ে দেওয়া যায় না। ওজর আবদারের ডালিটা তাই খুলেই বসলেন কুড়ি পঁচিশজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি। মন্ত্রী মশাইয়ের সামনে সাজার মেয়াদ কমানোর জন্য শুরু হল দরবার। মন্ত্রী মদন তখন দেওয়ান ই আমের আকবর যেন। পুরনো মেজাজেই আশ্বাস দেন,- দেখবেন, তিনি দেখবেন।
সকাল গড়িয়ে দুপুর। মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন তাঁর ছেলে। দেখা হয় জেল হাসপাতালেই। তবে কতদিন আর হাসপাতালে রাখা যাবে! মন্ত্রী জন্য সাজানো হচ্ছে সেলও। মদনেরই পছন্দসই ছ নম্বর সেলকে তড়িঘড়ি রং করানো হয়েছে। যখনই চাইবেন, মন্ত্রী মশাইকে জেল হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া সেখানে।