পরিবর্তনে মহাজাতি সদন
মহাজাতি সদনেও এবার পরিবর্তনের হাওয়া। কলকাতার ঐতিহ্যবাহী এই ভবনে এবার আধুনিক বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সদনের অছি পরিষদের এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। অছি পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুমোদনও করেছে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য পরিষদের চেয়ারম্যান হলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
মহাজাতি সদনেও এবার পরিবর্তনের হাওয়া। কলকাতার ঐতিহ্যবাহী এই ভবনে এবার আধুনিক বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সদনের অছি পরিষদের এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। অছি পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুমোদনও করেছে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য পরিষদের চেয়ারম্যান হলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
১৯৩৯ সালে মহাজাতি সদনের ভিত্তিপ্রস্তর স্তাপন করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভারতীয় জাতির উদ্দেশে উত্সর্গীকৃত এই ভবনের নামও তাঁরই দেওয়া। ঐতিহ্যবাহী এরকম একটি সদন নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মস্তিষ্ক প্রসুত। উনিশশো আটান্ন সালে এই সদন উদ্বোধন করেন তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়। দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্য রাজনীতির সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে গেছে এই ভবনটি। ডান বাম, শাসক বিরোধী সব রাজনৈতিক দলেরই সভা কেন্দ্র এটি। সেই মহাজাতি সদনকে আধুনিক বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে চলেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই পরিদর্শক দল সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে সরকারকে পরিদর্শন রিপোর্টও জমা দিয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, সিনেমা দেখানোর কোনও পরিকাঠামো নেই মহাজাতি সদনে। সিনেমা দেখাতে হলে ঢেলে সাজাতে হবে হলটিকে। বসাতে হবে আধুনিক পর্দা, তৈরি করতে হবে ডলবি শব্দ ব্যবস্থা। দর্শক আসনও তৈরি হবে নতুন করে।
সরকারি নাকি বেসরকারি উদ্যোগে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।