ভুল হচ্ছে, স্বীকার করলেন মমতা
পঞ্চায়েত ভোটের আগে আত্মসমালোচনার সুর শোনা গেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। গত দেড় বছরে সরকারের পারফরম্যান্সে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা যথাযত পূরণ হয়নি বলেই আমলা ও দলীয় নেতানেত্রী মারফত খবর পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অবস্থায় আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে হতে চলা পঞ্চায়েত ভোটের আগে ২০১১-র মতো জন সমর্থন তৈরি করার ডাক দেন নেত্রী। পাশাপাশি, দলের সর্বস্তরে অসন্তোষ মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন তিনি।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে আত্মসমালোচনার সুর শোনা গেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। গত দেড় বছরে সরকারের পারফরম্যান্সে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা যথাযত পূরণ হয়নি বলেই আমলা ও দলীয় নেতানেত্রী মারফত খবর পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অবস্থায় আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে হতে চলা পঞ্চায়েত ভোটের আগে ২০১১-র মতো জন সমর্থন তৈরি করার ডাক দেন নেত্রী। পাশাপাশি, দলের সর্বস্তরে অসন্তোষ মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন তিনি। মিডিয়ার একাংশ পান থেকে চুন খসলেই দল ও সরকারের বিরুদ্ধে কুত্সা ও অপপ্রচার করছে। এইসব মিডিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নামে বিজয়া সম্মেলনী হলেও, মঙ্গলবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে আসলে প্রাক পঞ্চায়েত দলীয় কর্মী সমাবেশ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে, কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করা। অন্যদিকে, দলের সর্বস্তরের নেতা নেত্রীদের মধ্যে দলীয় অনুশাসন কায়েম করার লক্ষ্যে এই সম্মেলনের ডাক দেওয়া হয়েছিল। দলের মধ্যে কোনও কোনও অংশে ২০১০-১১-র মতো শৃঙ্কলা এবং অনুশাসন দেখা যাচ্ছেনা বলেও তৃণমূল সূত্রে খবর। সব নেতার কাজকর্মে কড়া নজর রাখা হচ্ছে বলে এদিন হুঁশিয়ারি দেন নেত্রী। এই ইস্যুতে প্রতি সপ্তাহে পর্যালোচনা ও বৈঠক হবে বলে জানিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী।
দিল্লিতে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার থেকে বেরিয়ে আসার পর জাতীয় রাজনীতিতে দলের গ্রহণযোগ্যতা কী? দলের নীচু তলার কর্মীরা এই সিদ্ধান্তকে কী চোখে দেখছেন তাও শীর্ষনেতাদের কাছে জানতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশপাশি, ইউপিএ ছেড়ে বেরিয়ে আসার পর যেভাবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের একের পর এক হুমকি আসছে তার পরোয়া তিনি করেন না বলে সাফ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দলের জেহাদ চলবে বলেও তিনি জানান। তবে, এবিষয়ে দলীয় কর্মী বা নেতারা ঠিক কী মত পোষণ করেছেন তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি তৃণমূলের কোনও নেতাই।