'বিজেপি-কংগ্রেস সব রাজ্যই টাকা পাক, প্রধানমন্ত্রীও মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, জানেন কত কষ্ট!'

অভিযোগ করেন, "একে তো টাকা দিচ্ছে না, তারপর নানা এজেন্সি থেকে ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে।"

Reported By: সুতপা সেন | Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Aug 26, 2020, 07:49 PM IST
'বিজেপি-কংগ্রেস সব রাজ্যই টাকা পাক, প্রধানমন্ত্রীও মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, জানেন কত কষ্ট!'
ফাইল ফোটো

নিজস্ব প্রতিবেদন :  "রাজ্যকে কোনও টাকা দেওয়া হচ্ছে না। জিএসটি, ক্ষতিপূরণের বকেয়া বাবদ কোনও টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। তিন চার মাস ধরে রাজ্যকে কোনও টাকা দেওয়া হচ্ছে না। একই অবস্থা মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, ঝারখণ্ড, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড রাজ্যের ক্ষেত্রেও। সব রাজ্যকে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এটা সিরিয়াস সিচুয়েশন। এমনিতেই মহামারী চলছে। তারপর হিসাব চাইছে, মাস্ক কত টাকায় কেনা হয়েছে! আপনারা আগে হিসেব দিন নিজেরা কত টাকা দিয়েছেন?

বিপর্যয়ের কথা বলে যে টাকা আপনারা তুলেছেন, সেই টাকা কেন সব রাজ‍্যগুলোকে ভাগ করে দিচ্ছেন না? সব টাকা-ই তো রাজ্য খরচ করেছে। আমি শুধু বলছি না আমাকে দিন। আমি চাইছি বিজেপি রাজ্য, কংগ্রেস রাজ্য সবাই পাক। নয়তো রাজ্যগুলো চলবে কীভাবে! প্রধানমন্ত্রীও তো একসময় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি জানেন কত কষ্ট করে রাজ্যগুলো চালাতে হয়!" এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে ঠিক এইভাবেই চাঁছাছোলা ভাষায় কেন্দ্রকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পাশাপাশি, আরও তোপ দাগেন, "আমরা অনেকদিন ধরে দেখছি রাজ্যগুলির সঙ্গে কোনও কথা বলা হচ্ছে না। সিদ্ধান্ত নিয়ে শুধুমাত্র রাজ্যকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এভাবে শুধুমাত্র কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে রাজ্য চলতে পারে না। রাজ্যগুলো মিলিয়েই তো কেন্দ্র। এটা মনে রাখা দরকার।" মুখ্যমন্ত্রী এদিন অভিযোগ করেন, "একে তো টাকা দিচ্ছে না, তারপর নানা এজেন্সি থেকে ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে। তাহলে আমরা কি শুধুমাত্র ভয় পেয়ে ওয়ান নেশন ওয়ান পলিটিক্যাল পার্টিতে থাকব? নাকি আমরা মানুষের কথা বলব না? কখনও কোনও লোক কাজ করলে তাঁর বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কখনওবা কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিচ্ছে। এটা পদ্ধতি নয়।"

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান যে, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের ১৮৮২ কোটি টাকা সরাসরি ৩৯ লক্ষ উপভোক্তাদের ব‍্যাঙ্ক অ‍্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৫ লক্ষ ৭০ পরিযায়ী শ্রমিককে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে যুক্ত করে কাজ দেওয়ার ব‍্যবস্থা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান ক‍্যাবিনেট বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, তাজপুর বন্দর রাজ‍্য সরকার নিজেরা-ই করবে। সহযোগী কোনও সংস্থা যদি এই প্রকল্পে রাজ‍্য সরকারের সঙ্গে যুক্ত হতে চায় তাহলে দরপত্র দেবে। দিঘাতে জিও কেবল ল‍্যান্ডিং স্টেশন করবে বলেও এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, "চেন্নাই ও মুম্ব‌ইতে রয়েছে। ডেটা সেন্টারের কাজের জন‍্য এটা খুবই দরকারি। আমাদের এখানে এটা হলে সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব সাইবার কোম্পানির জন‍্য এটা খুবই সহায়ক হবে।"

আরও পড়ুন, রাজ্যে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ল, কবে কবে? নতুন দিন ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

.