সুতপা সেন: বিধানসভায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ও তার মোকাবিলা নিয়ে আলোচনাতেও বাদ গেল না সরকার-বিরোধী তরজা।  আলোচনা চাওয়ার পর বিরোধীদের ওয়াকআউটে আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সরকার পক্ষ।  বিরোধীদের অভিযোগ, সরকার মোকাবিলা নয়, ডেঙ্গি নিয়ে নিজেদের প্রচারে আগ্রহী। অন্যান্য রাজ্যে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর তুলনাও টানেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার চেয়ে ওই রাজ্যগুলিতে ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা বেশি বলে পরিসংখ্যান দিয়ে বিধানসভায় জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।     


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার বিধানসভায় ডেঙ্গি নিয়ে আলোচনার জন্য শাসকদলের তরফে প্রস্তাব আনেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়,সহকারী মুখ্য সচেতক তাপস রায়-সহ অন্য তৃণমূল বিধায়করা। ভোটাভুটি ও সংশোধনী দেওয়ার সুযোগ ছাড়াই আলোচনার প্রস্তাবে বিরোধিতা করেন বিরোধীরা। ডেঙ্গি মোকাবিলায় সরকারের যথাযথ পরিকল্পনা ও গবেষণার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ করেন বাম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ করেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন  চক্রবর্তী। বিরোধীদের অভিযোগের কড়া জবাব দেন ফিরহাদ হাকিম। জবাবি ভাষণে ,নাম না করে অশোক ভট্টাচার্যকে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত এলাকার মানুষ বলে কটাক্ষ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই ডেঙ্গি নিয়ে অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে তুলনামূলক তথ্য পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী,


                           ডেঙ্গিতে  আক্রান্ত                      মৃত
গুজরাট                 ৪৮৪১                                      ১৫১
মহারাষ্ট্র                 ২২৭১                                      ২৪০
মধ্যপ্রদেশ             ৭২০                                        ১৬৫
অসম                   ৩৯০                                          ৯৪




সেই তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের বিঁধে তিনি বলেন,''ডেঙ্গির প্রকোপ নিয়ে আলোচনার থেকে কুত্সা, অপপ্রচার বেশি হচ্ছে। একজনের মৃত্যুও দু:খজনক। কখনও কোনও কোনও রোগ আসে। যারা এখানে সমালোচনা করল, তারা কোথায় ছিল। ইটটা মারার সময় ঠিক করে মারতে হয়, নইলে পাটকেল খাওয়ার কথা মনে রাখতে হবে। মানুষ পর্যুদস্ত করেছে, তারপরেও ডেঙ্গি নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে। মানুষ ঔদ্ধত্য পছন্দ করে না। এসব আর কতদিন চলবে? আমার বিরুদ্ধে যত বলবে, তত লাভ।'' ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্যে ৩ হাজার চিকিত্সক , ৪হাজার  নার্স ও ৫১ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী  কাজ করছেন বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


আরও পড়ুন- ঝাঁঝে চোখে জল নয়, কান্না আসবে এবার,কলকাতায় আরও বাড়ছে পেঁয়াজের দর