আমি মন্ত্রী অথচ না জানিয়ে বের করে দিল, বিতর্কিত ডাইনিং নির্দেশিকায় বিস্মিত মমতা
সংখ্যালঘু দফতরের একটি নির্দেশিকায় বলা হয়,৭০ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু পড়ুয়া রয়েছে এমন সরকারি বা সরকার পোষিত স্কুলগুলি নির্মাণ করতে হবে ডাইনিং হল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সরকারি বা সরকারি পোষিত সংখ্যালঘু সংখ্যাধিক্য স্কুলে ডাইনিং হল নির্দেশিকা নিয়ে বিতর্কে রাজ্য সরকার। আর সেই বিতর্কের জেরে নির্দেশিকাটি প্রত্যাহার করল নবান্ন। হইচই হওয়ার পর খোদ মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশিকাটি নিয়ে ক্ষুব্ধ। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, হিন্দু-মুসলিম দেখে কোনও সিদ্ধান্ত হবে না। একইসঙ্গে তাঁকে না জানিয়ে নির্দেশিকা জারি করায় বিস্মিত সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংখ্যালঘু দফতরের একটি নির্দেশিকায় বলা হয়,৭০ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু পড়ুয়া রয়েছে এমন সরকারি বা সরকার পোষিত স্কুলগুলি নির্মাণ করতে হবে ডাইনিং হল। স্কুলের নাম, ব্লক বা পুরসভা, পড়ুয়ার সংখ্যা, সংখ্যালঘু পড়ুয়ার সংখ্যা ও সংখ্যালঘু পড়ুয়ার হার- ইত্যাদি তথ্য পাঠাতে হবে ২৮ জুনের মধ্যে।নির্দেশিকাটি নিয়ে বিতর্ক পৌঁছয় মমতার কাছে। শিক্ষা সচিব ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্দেশিকাটি অবিলম্বে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট নির্দেশ দেন, হিন্দু-মুসলিম দেখে কোনও সিদ্ধান্ত হবে না। নতুন করে নির্দেশিকা জারি হবে।
তাঁকে অন্ধকারে রেখে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলেও অনুযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতরের দায়িত্বেও রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বিস্ময়প্রকাশ করেছেন, আমি জানতামই না। আমি মন্ত্রী অথচ না জানিয়ে বের করে দিল। এনিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। .
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এটাও মনে করেন, সংখ্যালঘু উন্নয়নে টাকা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই টাকা কাজে লাগাতে হয়। মেনে চলতে হয় কেন্দ্রের নির্দেশিকাও। কিন্তু যাই হোক না কেন এই ধরনের নির্দেশিকার কোনও অর্থ নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নির্দেশিকাটি প্রত্যাহার করে সংখ্যালঘু বিষয়ক দফতর।
ওই নির্দেশিকাটি প্রকাশ্যে আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে তোষণের রাজনীতির অভিযোগ করে বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ টুইট করেন, ধর্মের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে কেন? বিভেদের পিছনে কি দুরভিসন্ধি রয়েছে? আর একটা ষড়যন্ত্র?
1.1 The West Bengal Government has issued a circular whereby it has directed the school authorities where 70 % or more students are from the Muslim community to reserve a dining hall with seating arrangements for them. pic.twitter.com/cwYQWngDtW
— Dilip Ghosh (@DilipGhoshBJP) June 27, 2019
প্রসঙ্গত, সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্পে দেশের প্রতিটি স্কুলেই পড়ুয়াদের দেওয়া হয় মিড ডে মিল। স্কুল ছুট রুখতে মিড মিল প্রকল্প চালু হয়েছিল।
আরও পড়ুন- বাংলা জয়ের আভাস পেয়ে ঢিল দিতে নারাজ অমিত, রণনীতি সাজাতে জরুরি ডাক নেতৃত্বকে