নিজস্ব প্রতিবেদন: এসমা জারি করতে চায় না রাজ্য সরকার। অচলাবস্থার শান্তিপূর্ণ সমাধান চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সুষ্ঠুভাবে সমাধান করতে চায় সরকার। আইন রয়েছে। কিন্তু কারও কেরিয়ার নষ্ট করতে চাই না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সাংবাদিক বৈঠকে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,''এসমা জারি করতে চাই না। গুজরাটে নরেন্দ্র মোদীর জমানায় ১৫০ জন ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আমি চাই, শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক। সব দাবি পূরণ করেছি''। একইসঙ্গে চিকিত্সকদের আন্দোলন দমনে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এসমা প্রয়োগের নজিরও তুলে ধরেন মমতা।   




ESMA বা Essential Services Maintenance আইনে জরুরি পরিষেবা জারি রাখতে চিকিত্সকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে সরকার। বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে এসমা লাগুর হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই হুঁশিয়ারি উড়িয়ে আন্দোলন চালিয়ে যান জুনিয়র ডাক্তাররা।            


যে ডাক্তাররা কাজে যোগ দিতে চান, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন মমতা। তাঁর বার্তা, আমরা যা করেছি, কেউ করবে না। কেন কাজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে? যাঁরা কাজ করতে ইচ্ছুক, তাঁরা কাজে যোগ দিন। তাঁদের সবরকম সাহায্য করবে প্রশাসন।  


ছাত্র আন্দোলনে বহিরাগতরা যুক্ত রয়েছে বলেও দাবি করেন মমতা। একইসঙ্গে আলোচনার দরজা সবসময় খোলা রয়েছে বলেও বার্তা দেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়,''আমি মনে করি, শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়া উচিত। কথা বলার দরজা সবসময় খোলা আছে''।       
ছাত্রদের সমস্ত দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন মমতা। তাঁর কথায়,''যা যা বলেছে, প্রতিটা অ্যাকশন সরকার নিয়েছে। ৩ হাজার পুলিস মোতায়েন রয়েছে ডাক্তারদের নিরাপত্তায়। সবরকম পদক্ষেপের  প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। ৫ জনকে পুলিস সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করেছে। তারা পুলিস হেফাজতে রয়েছে। আরও দাবি থাকলে মেনে নিতে রাজি আছি। ছোট ছোট বাচ্চাদের মৃত্যু হচ্ছে। আপনারা কাজে যোগ দিন''।


আরও পড়ুন- দার্জিলিঙের স্থায়ী সমাধান চাই, বাংলা ভেঙে গোর্খাল্যান্ড চাইলেন মুকুল?