মন্ত্রীদের মুখেও লাগাম মুখ্যমন্ত্রীর
দলে বিক্ষোভ-বিদ্রোহে লাগাম পরাতে আগেই নেতাদের সংবাদমাধ্যের সামনে মুখ না খোলার ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ জারি করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার ফরমান জারি হল মন্ত্রীদের ওপরও। গতকাল মহাকরণে মন্ত্রিসভার সব সদস্যদের নিয়ে নিজের ঘরে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, কোনও বিষয়েই তাঁরা যেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলেন। যা বলার এখন থেকে তিনিই বলবেন।
দলে বিক্ষোভ-বিদ্রোহে লাগাম পরাতে আগেই নেতাদের সংবাদমাধ্যের সামনে মুখ না খোলার ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণ জারি করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। এবার ফরমান জারি হল মন্ত্রীদের ওপরও। গতকাল মহাকরণে মন্ত্রিসভার সব সদস্যদের নিয়ে নিজের ঘরে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, কোনও বিষয়েই তাঁরা যেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলেন। যা বলার এখন থেকে তিনিই বলবেন।
সাংসদ কবীর সুমন, সুচারু হালদার থেকে বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের সামনে দলের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়ে যথেষ্ঠই অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে তাই আসরে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রীও। সোমবারই দলের নেতাদের সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলা নিয়ে ফরমান জারি হয়েছিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে দলের শীর্ষ নেতা ও বিধায়কদের পাঠানো ওই এসএমএসে বলা হয়েছিল, দলের পরামর্শ অনুযায়ী আপনাদের অবগত করা হচ্ছে যে দলের ছাড়পত্র না নিয়ে কোনও বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে কথা বলবেন না। এ বিষয়ে ছাড়পত্র পেতে হলে আপনারা শ্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা তাঁকে ফোনে বার্তা পাঠাতে পারেন।
বুধবার ফরমান জারি হল মন্ত্রীদের জন্যও। মহাকরণে নিজের ঘরে মন্ত্রিসভার সদস্যদের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন তাঁরা যেন কোনও বিষয়েই সংসাবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলেন। এখন থেকে যা বলার তিনি নিজেই বলবেন। অর্থাত্ এখন থেকে নিজেদের দফতর সংক্রান্ত কোনও বক্তব্য সংবাদমাধ্যমকে জানাতে পারবেন না মন্ত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রীর এইনির্দেশে রীতিমতো বিস্মিত হলেও বৈঠকের পর কেউই এনিয়ে মুখ খোলেননি। বুধবারের বৈঠকে বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে মন্ত্রীদের জেলায় বেশি সময় দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে।