নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনে ইউনাইটেড ইন্ডিয়া গঠনের পক্ষেই রায় দেবেন গোটা দেশের মানুষ। আত্মবিশ্বাসী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে দাঁড়িয়ে একথাই জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


তিনি বললেন, ''কোনও অঙ্কেই আর বিজেপি ক্ষমতায় আসতে পারছে না। এই বিষয়ে আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত।''


পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার ব্যাপারে বিরোধীরা আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেন, ''আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করছি। আমার নিজের কিছু চিন্তাভাবনা রয়েছে। অন‍্যদের‌ও কিছু আলাদা চিন্তাভাবনা রয়েছে। সমস্ত আঞ্চলিক ও জাতীয় দলগুলো এই বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করব। আমরা একটা অভিনব কর্মসূচি গ্রহণ করে কাজ করব। এই বিষয়ে আমি খুব পজিটিভ।''


আরও পড়ুন: জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারে কমিশনকে 'না' রাজ্যের


মঙ্গলবারই কংগ্রেসের ইস্তেহার প্রকাশিত হয়েছে। তা নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বরং বলেছেন, ''আমরা ইস্তেহারে যা বলি সেটাই করে দেখাই। ২০১১ বা ২০১৪ বা ২০১৬ সালে যা বলেছিলাম, তাই করেছি। আপনারা আমাদের ইস্তেহার দেখে মিলিয়ে নিতে পারেন।''


এর পরই তিনি নাম না করে কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন। বলেছেন, ''কার্যক্ষেত্রে সেটা সঠিকভাবে করে দেখানোটাই কাজ।'' একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন বিরোধী জোট ক্ষমতায় এলে অভিন্ন ন্যুনতম কর্মসূচির উপর ভিত্তি করে সরকার চলবে।


আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে মোতায়েন ১০ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে ৭ কোম্পানি উত্তরবঙ্গে পাঠাল কমিশন


কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর মতে, ''এছাড়া মায়াবতীজির নিজস্ব মতামত আছে, অখিলেশের নিজস্ব মতামত আছে, দেবেগৌড়াজি, চন্দ্রবাবু নাইডুজি তাদেরও নিজস্ব মতামত আছে। আমি চাই সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে।''


অন্যদিকে সোমবার সেনাবাহিনীকে মোদীর সেনা বলে মন্তব্য করেছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী। সেই প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান যে কোনও রাজনৈতিক নেতারই এমন মন্তব্য করা উচিত নয়।


আরও পড়ুন: বাহিনী সরানোর পর জঙ্গলমহলে কিছু হলে দায় কে নেবে, প্রশ্ন মমতার


তাঁর কথায়, ''আমাদের সেনাবাহিনী সারা দেশের জন্য কাজ করে। আমি তাদেরকে স্যালুট জানাই। তারা নির্দিষ্ট কোনও একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করে না।''


মমতার অভিযোগ, ''বিজেপি এত ফ‍্যাসিস্ট হয়ে গিয়েছে যে যেকোনও সংস্থাকে নিয়ে ওরা এই ধরনের কথা বলে দিচ্ছে। যে যা মুখে আসে তাই বলে দিচ্ছে। একটা সীমা থাকা উচিত। ওরা সব সীমা পার করে দিচ্ছে।''