জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারে কমিশনকে 'না' রাজ্যের

সূত্রের খবর, এদিন আইপিএস বীরেন্দ্র কমিশনের প্রতিনিধিকে জানান, পশ্চিমবঙ্গের মাও অধ্যুষিত এলাকা থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করলে সেখানে নাশকতা ঘটতে পারে। ফের বাড়তে পারে মাওবাদীদের দৌরাত্ম্য।

Updated By: Apr 2, 2019, 02:48 PM IST
জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারে কমিশনকে 'না' রাজ্যের

নিজস্ব প্রতিবেদন: পশ্চিমবঙ্গের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা থেকে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক। নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষকের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই অনুরোধ করলেন রাজ্য পুলিসের ডিজি বীরেন্দ্র। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার নবান্নে রাজ্য পুলিসের ডিজির সঙ্গে বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গের পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। সেখানেই এই অনুরোধ করেন রাজ্য পুলিসের ডিজি। 

 

সূত্রের খবর, এদিন আইপিএস বীরেন্দ্র কমিশনের প্রতিনিধিকে জানান, পশ্চিমবঙ্গের মাও অধ্যুষিত এলাকা থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করলে সেখানে নাশকতা ঘটতে পারে। ফের বাড়তে পারে মাওবাদীদের দৌরাত্ম্য। ফলে নির্বাচনের মধ্যেও জঙ্গলমহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকা দরকারি। 

২০১১-র বিধানসভা নির্বাচনের আগে জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১১-য় ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, 'মাও-ফাও বলে কিছু নেই।' ওদিকে একের পর এক মাও নেতার পুনর্বাসন হয়েছিল তৃণমূলে। জঙ্গলের জীবন ছেড়ে শাসকদলে নাম লিখিয়েছিলেন তাঁরা। তার পর থেকে জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার করতে চেয়ে রাজ্যের কাছে আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু কিছুতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার করতে দিতে নারাজ নবান্ন। 

রাহুল গান্ধী হিন্দু নন, তাঁর কাছে ৪টি দেশের পাসপোর্ট রয়েছে, দাবি সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর

ভোটের মুখে ফের একবার জঙ্গলমহল থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। নির্বাচনি নিরাপত্তার জন্য তাকে ব্যবহার করতে চায় কমিশন। কিন্তু বাহিনী প্রত্যাহার করতে দিতে নারাজ রাজ্য সরকার।  

.