গণতন্ত্র বাঁচাতে ব্যালট ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি মমতার
সোমবার নবান্নে সমন্বয় বৈঠক সেরে বেরিয়ে একথাই জানিয়েছেন তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যালটেই ফিরতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে সমন্বয় বৈঠক সেরে বেরিয়ে একথাই জানিয়েছেন তিনি। ইভিএমে যে তাঁর বিশ্বাস নেই, সেকথাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কারণেই তাঁর স্লোগান, "গণতন্ত্র বাঁচাও। ব্যালট ফিরিয়ে দাও। মেশিন চাই না।"
ইভিএমে কারচুপি নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সরব বিরোধীরা। নির্বাচনের বিজেপির জয়ের পর সেই একই প্রসঙ্গ বিভিন্ন বিরোধী নেতার মুখে ফিরে আসছে। তা এদিন শোনা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখেও।
আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে জনসংযোগ যাত্রার কর্মসূচি তৃণমূলের, ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
তাঁর মতে, ইভিএমে আগে থেকেই প্রোগ্ৰামিং করা যায়। তাই দেশের সব বিরোধী দলকে ইভিএম নিয়ে তথ্য অনুসন্ধানের অনুরোধ করেছেন তিনি। প্রশ্ন তুলেছেন, কয়েক লক্ষ মেশিন কোথায় গেল? মুখ্যমন্ত্রী দাবি, দুই শতাংশ ইভিএমই উল্টে দিতে পারে ভোটের ফল।
তাই এবারের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলকে মানুষের রায় বলে মানতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, এবারের নির্বাচনে বিজেপি টাকার অপব্যবহার করেছে। সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে। টাকা ব্যবহার করে গণতন্ত্রের সর্বনাশ করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন: 'জয় শ্রীরামের' পাল্টা জবাব, মোদীর বাড়িতে 'জয় বাংলা' লেখা কার্ড পাঠাবে তৃণমূল
মানুষের রায় এবারের ভোটে সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয়নি বলে বিজেপি ভয় পাচ্ছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, সেই কারণেই পার্টি অফিস দখলের রাজনীতির পথে নেমেছে বিজেপি। ভুয়ো ভিডিও ছড়িয়ে দেশে বাংলার নাম বদনাম করছে বিজেপি।
সেই কারণেই ১৯৮৬ ও ২০০৯ সালের ভোটের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৯৮৬ সালে কংগ্রেসকে মানুষ সমর্থন করেছিল। ২০০৯ সালে কংগ্রেস-তৃণমূল জোটকে বাংলার মানুষ সমর্থন করেছিল। সেই কারণেই পার্টি অফিস দখল করতে হয়নি তাঁর দাবি।