স্বরূপ দত্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এত শান্ত থাকা যায়! এত নির্লিপ্ত থাকা যায়! ৩৪ বছরের শক্তপোক্ত বামফ্রন্ট সরকারকে সরিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিলেন ২০১১ সালে। দেখতে দেখতে ৫ বছর কেটে গেল। ফের একটা নির্বাচন। এবার আর আগেরবারের সঙ্গী-সাথীরা ছিল না। নির্বাচনে একা লড়েছে তৃণমূল। এই প্রথম। আর প্রথমবার একা নির্বাচনে লড়ে তৃণমূলের এই বিপুল সংখ্যক আসনে জয়ের আভাস দুপুর ১২টার মধ্যেই। বিরাট বিজয় নিশ্চিত জেনেই তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী বসে গেলেন সাংবাদিক সম্মেলনে।


এ কোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! সমস্ত আবেগ উত্তেজনা যেন ঝেড়ে ফেলেছেন গা থেকে। শান্ত মুখ, তার থেকেও শান্ত গলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বললেন----''বিজয় উত্সব অবশ্যই হবে। কিন্তু সেটা হবে সাংস্কৃতিক উত্সব। রাজ্যের ছেলে মেয়েরা মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফল করেছে। সেইসব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনন্দন জানাই। মা-মাটি-মানুষকে অভিনন্দন। বাংলার মণীষীদের সম্মান জানাই। কাল থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্তই মানুষকে নিয়ে বিজয় আনন্দ করা হবে। আজকের রেজাল্টের পর কাল দুপুর সাড়ে ১২টায় সব জয়ী প্রার্থীকে ডেকেছি।কাল ওটাই আমাদের বড় কর্মসূচি। শুক্রবার সব ধর্মের মানুষের কাছেই খুব উল্লখযোগ্যদিন। পরের শুক্রবার শপথ নেওয়ার কথা ভাবছি। দলের সবার সঙ্গে কথা বলে, স্পিকারের সঙ্গে কথা বলেই শেষ সিদ্ধান্ত নেব। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অরুণ দজেটলি, সুরেশ প্রভু, অমিতাভ বচ্চনরা আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সবাইকে ধন্যবাদ। আমাদের চ্যালেঞ্জ, দায়বদ্ধতা সব বেড়ে গেল।  আমরা গত চার বছরে অনেক ভালো কাজ করেছি।  আগামিদিনে আরও ভালো কাজ করবো।  চাইবো আমাদের সব প্রতিবেশী রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকুক।  শুধু রাজ্যই বা কেন, সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গেও সম্পর্ক ভালো রাখবো।  আর মাথায় রাখবেন আমাদের প্রথম এবং প্রধান কর্মসূচি হল, গরিব, অসহায় মানুষদের সাহায্য করা।''