হঠাৎ ছোট্ট টুইট, ২০১৬ সালের বিধানসভা তৃণমূলের, দাবি প্রত্যয়ী মমতার
ছোট্ট একটা টুইটে হঠাত্ই ভোটের হাওয়া উস্কে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। লিখলেন, দু হাজার ষোলোর ভোটে জিতবে তৃণমূলই। কিন্তু অপ্রাসঙ্গিকভাবে কেন হঠাত্ ভোটের কথা? জল্পনা চলছে। তবে এর কিছুক্ষণের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর টুইটকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ল বিজেপি শিবির। সিদ্ধার্থনাথ সিংয়ের দাবি, দু হাজার ষোলোর লড়াই সহজ হবে না।
ওয়েব ডেস্ক: ছোট্ট একটা টুইটে হঠাত্ই ভোটের হাওয়া উস্কে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। লিখলেন, দু হাজার ষোলোর ভোটে জিতবে তৃণমূলই। কিন্তু অপ্রাসঙ্গিকভাবে কেন হঠাত্ ভোটের কথা? জল্পনা চলছে। তবে এর কিছুক্ষণের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর টুইটকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ল বিজেপি শিবির। সিদ্ধার্থনাথ সিংয়ের দাবি, দু হাজার ষোলোর লড়াই সহজ হবে না।
দু হাজার ষোলোর বিধানসভা ভোটের এখনও ঢের দেরি। নির্ধারিত সময়ে হলেও, হাতে এখনও সাত-আটমাস। সম্প্রতি ভোট নিয়ে কোনও তর্ক বিতর্কও বাঁধেনি। এমন সময়ে আচমকাই ভোটের হাওয়া উস্কে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
শনিবার সকালে সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট টুইটারে ভেসে উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট্ট মন্তব্য ''গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা। রাজ্যে উন্নয়নের রেকর্ড দেখে আমরা আত্মবিশ্বাসী, ২০১৬ সালে আবার তৃণমূলই জিতবে।''
প্রশ্ন উঠছে এমন আগ বাড়িয়ে ভোটের কথা কেন? প্রবল আত্মবিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ? নাকি উল্টোটা? দলের ভেতরকার কোন্দল,পরপর গোষ্ঠীসংঘর্ষ, সিন্ডিকেটরাজ সহ একাধিক ইস্যুতে চাপে আছে তৃণমূল শিবির। গত চারবছরে গোটা রাজ্য শুধু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বলি হয়েছেন ১০০ তৃণমূল কর্মী। প্রকাশ্যে ইগোর লড়াইয়ে জড়িয়েছেন একাধিক প্রথম সারির নেতা-নেত্রী। গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে রয়ে গেছেন মুকুল রায়।সবমিলিয়ে তৃণমূল স্তরের কর্মীদের মনোবলে চিড় ধরতে শুরু করেছে। আর সেই অস্বস্তি ঢাকতেই কি টুইটারে আক্রমণাত্মক মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রশ্নও উঠছে। কিন্তু সেসব প্রশ্ন পাত্তা দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। নেত্রীর টুইটের পরই তার সমর্থনে যুক্তি দিতে শুরু করেছেন অনেকেই।
মুখ্যমন্ত্রীকে অবশ্য এত সহজে ওয়াকওভার দিতে রাজি নয় বিরোধী শিবির।