Jadavpur University: যাদবপুরে নকল সেনা পাঠিয়ে পুলিসের জালে সাদেক....
শুক্রবার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু থানায় হাজির দেননি অভিযুক্ত। এদিন গার্ডেনরিচের বাড়ি থেকে তাঁকে আটক করে পুলিস। যাদবপুরে থানায় জিজ্ঞাসাবাদের গ্রেফতার করা হল।
পিয়ালী মিত্র: সেনার পোশাকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে! কেন? অবশেষে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত কাজি সাদেক হোসেন। এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সম্পাদক তিনি। আগামিকাল ধৃতকে পেশ করা হবে আদালতে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: মুম্বইয়ে মমতাকে আমন্ত্রণ অমিতাভ বচ্চনের...
ঘটনাটি ঠিক কী? বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে পড়েন ১০ থেকে ১৫ জন। সকলেরই পরনে ছিল সেনার পোশাক! নিজেদের এশিয়ান হিউম্যান রাইটস নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য বলে পরিচয় দেন তাঁরা। সেনার পোশাকে কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে? তার কোনও সদুত্তর মেলেনি।
এদিকে এই ঘটনার কথা যখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায় পুলিস, তখন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। শেষপর্যন্ত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে পুলিসই। সেনা বাহিনীর পোশাকে কাদের দেখা গিয়েছে, সেই সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে নোটিস পাঠানো হয় যাদবপুরের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে। শুরু হয় তদন্ত।
তদন্তে নেমে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস নামে ওই সংস্থার একটি লেটারহেড হাতে আসে পুলিস। লেটারহেডে উল্লেখ, সংস্থাটির হেড অফিসে ওল্ড পোস্ট অফিস স্ট্রিট। এদিন সেই ঠিকানায় হানা দেয় পুলিস। কিন্তু দেখা যায়, সেখানে তেমন কোনও অফিসই নেই! জানা যায়, সংস্থার সম্পাদক কাজি সাদেক হোসেন মাঝে মাঝে একজন আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করতে আসতেন ঠিক-ই। কিন্তু কোনও অফিসের অস্তিত্ব-ই নেই!
আরও পড়ুন: আত্মহত্যার ২০ ঘণ্টা পর হাসপাতালেই উদ্ধার প্রসূতির দেহ! কড়া পদক্ষেপ মানবাধিকার কমিশনের
এর আগে, শুক্রবার সাদেককে নোটিশ পাঠায় পুলিস। আজ, শনিবার থানায় হাজির দিতে বলা হয় তাঁকে। কিন্তু হাজিরা দেওয়া তো দূর, প্রথমে নোটিশটি নিতেই চাননি সাদেকের পরিবারের লোকেরা। তারপর? রাতে গার্ডেনরিচের বাড়ি থেকে প্রথম আটক করা হয় অভিযুক্তকে। এরপর যাদবপুর থানার চলে জিজ্ঞাসাবাদ। 'কেন সেনার পোশাকে যাদবপুর ক্যাম্পাসে'? সাদেকের কাছে জানতে চান তদন্তকারীরা। শেষে গ্রেফতারি।