নিজস্ব প্রতিবেদন : মাঝরাতে দুটি দামি ফোন ও টাকা চুরি করে পালাচ্ছিল ভূত। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ভূতের, থুড়ি চোরের ফেলে যাওয়া একপাটি চটির সূত্র ধরে তাকে বমাল পাকড়াও করল পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে, এই ভূত কোনও অশরীরী নয়। বরং সশরীরে নেশার টাকা জোগাড় করতে ভূত সেজে চুরি ছিনতাই চালাত বছর ১৯-এর শেখ রাজেশ। মঙ্গলবারও ভূত সেজে চুরি করতে বের হয় সে। রাত আড়াইটে নাগাদ সে নিউ আলিপুরের সাহাপুরের শীতলাতলা রোডের অরিন্দম চৌধুরির বাড়ি গিয়ে হাজির হয়। জলের পাইপ বেয়ে উঠে যায় দোতলায়। জানলা ভেঙে সোজা ঘরের ভিতর। দুটি দামি ফোন ও বেশ কিছু টাকা চুরি করে লাফ মেরে নিচে নামে সে। কিন্তু ভূতের এ হেন কান্ডকারখানা চোখে পড়ে যায় বাড়ির মালিকের। প্রথমে পিছু নিলেও ভূত পালিয়ে যায়।


আরও পড়ুন : নজিরবিহীন ঘটনা দুর্গাপুরে! লালবাতি গাড়ি 'ছেড়ে' হেঁটে আদালতে পৌঁছলেন ১১ বিচারক


ভূতকে এভাবে চুরি করতে দেখে প্রথমে হকচকিয়ে যান বাড়ির মালিক। সম্বিত ফিরে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ১০০ ডায়াল করেন। দ্রুত এলাকায় টহলরত পুলিস তাঁর বাড়ি আসে। অরিন্দমবাবুর বাড়ি থেকে একপাটি চটি পায় পুলিস। সেই চটির সূত্র ধরেই শুরু হয় খোঁজ। আশেপাশের সব স্টেশন ও বড় রাস্তায় টহলরত পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। 


কিছুক্ষণের মধ্যেই নিউ আলিপুর ও মাঝেরহাটের মাঝে রেললাইন থেকে এক সন্দেহভাজনকে আটক করে পুলিস। তার এক পায়েই চটি থাকায় চিনতে সমস্যা হয়নি। জেরার জন্য তাকে আলিপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। বুধবার দিনভর জেরার সময়ে পুলিসকে বার বার ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করে সে। শেষমেষ লাগাতার জেরার মুখে ভেঙে পড়ে অভিযুক্ত। পুলিসকে সে জানায়, তার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলেরহাটে। প্রায়শই নেশার টাকা জোগার করতে চুরি-ছিনতাই করত সে। কুকর্ম করার সময়ে যাতে কেউ চিনে না ফেলে তার জন্য মাথায় কাপড় বেঁধে ভূত সেজে বের হত সে। কিন্তু, এবার শেষ রক্ষা হল না। চটির চোটেই ধরা পড়ে গেল সে। ধৃতের কাছ থেকে ১৫টি ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস।