চিঠি-পাল্টা চিঠির কংগ্রেসি কাজিয়ায় সুর চড়াচ্ছেন মানস ভুঁইঞা

সুর চড়াচ্ছেন মানস ভুঁইঞাও। দলের সব বিধায়ককে পাল্টা চিঠি দিচ্ছেন সবংয়ের বিধায়ক। কোন যুক্তিতে PAC-র চেয়ারম্যান হলেন তিনি, মান্নানদের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ টাই বা কী? চিঠিতে বিধায়কদের তাঁর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিচ্ছেন তিনি।

Updated By: Jul 10, 2016, 04:54 PM IST
চিঠি-পাল্টা চিঠির কংগ্রেসি কাজিয়ায় সুর চড়াচ্ছেন মানস ভুঁইঞা

ওয়েব ডেস্ক: সুর চড়াচ্ছেন মানস ভুঁইঞাও। দলের সব বিধায়ককে পাল্টা চিঠি দিচ্ছেন সবংয়ের বিধায়ক। কোন যুক্তিতে PAC-র চেয়ারম্যান হলেন তিনি, মান্নানদের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ টাই বা কী? চিঠিতে বিধায়কদের তাঁর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিচ্ছেন তিনি।

মানস-কংগ্রেস সংঘাত
PAC -র চেয়ারম্যান পদ গ্রহণ নিয়ে এবার দলকে পাল্টা চাপে ফেলার কৌশল নিলেন মানস ভুঁইঞা। দলের চিঠি হাতে পাওয়ার আগেই জানালেন , এক বছর এই পদ ছাড়ছেন না।
যে বিধায়করা তাঁকে চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ জানাচ্ছেন এবার তাঁদেরও পাল্টা চিঠি দেবেন মানস।

কী থাকছে চিঠিতে?

কোন পরিস্থিতিতে PAC-র চেয়ারম্যান পদ গ্রহণ করলেন তিনি সে কথা বিস্তারিত বিধায়কদের জানাবেন।

সেই সঙ্গে বিধায়কদের কাছে দলের অবস্থান নিয়েও একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলছেন মানস। তাঁর কথায়, জোটের পক্ষে রয়েছেন তিনিও। কিন্তু জোট ধর্ম পালনের নামে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীকে কি একটু বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন না আব্দুল মান্নান?
ক্ষুব্ধ মানস ভুঁইঞার প্রশ্ন, এক বছরের জন্য তাঁকে PAC-র চেয়ারম্যান মেনে নিলে কী এমন ক্ষতি হত?  PAC-চেয়ারম্যান হিসেবে সুজন চক্রবর্তীর নাম প্রস্তাব করা নিয়ে সব বিধায়কের মতামত কেন নিল না দল?
কেনই বা এত দিনে একটির বেশি পরিষদীয় দলের বৈঠক করে উঠতে পারলেন না মান্নানরা?

মানস ভুঁইঞার অভিযোগ, পরিকল্পিত ভাবে তাঁকে অপমান করা হচ্ছে। লালবাতি লাগানো গাড়ি চড়ার লোভ তাঁর নেই। এক সময় ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিলেন তিনি। এখন  কোন এক্তিয়ারে তাঁকে অপমান করছেন মান্নানরা?  সে প্রশ্নও তুলেছেন ক্ষুব্ধ মানস।

মানস ভুঁইঞা যাই বলুন না কেন,কংগ্রেস অবশ্য পোড়খাওয়া এই নেতাকে নিয়ে ধীরে চলো নীতিতেই হাঁটতে চায়। চিঠি পাঠিয়ে অপেক্ষা...মানস PAC-র মিটিং ডাকলে যাবেন কংগ্রেস বিধায়করাও... মানস তোপ দাগলেও আপাতত চুপ। সব শোনার পর অধীর চৌধুরীর প্রতিক্রিয়া, AICC-র সিদ্ধান্ত আমরা কার্যকরী করেছি। মানস ভুঁইঞাকে পদ ছাড়তে বলা হয়েছে। তাতে রাগ, অভিমানের কী আছে? দিল্লি যা নির্দেশ দেয় সেটাই আমরা পালন করি। পদ ছাড়ুন, বাকি ক্ষোভ, দুঃখ নিয়ে আলোচনা করাই যাবে।

তবে পাল্টা আক্রমণে কংগ্রেস না গেলেও, মানস ভুঁইঞার প্রতিটি পদক্ষেপের উপর নজর রাখছে দল। কংগ্রেসের বক্তব্য, অতীতেও অনেক সিদ্ধান্ত নিয়ে রাগ করেছেন মানস ভুঁইঞা। কিন্তু কখনও AICC-র নির্দেশ কে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ করেননি। এবার সামান্য একটা পদের জন্য কেন এতটা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠলেন মানস? তা ভাবাচ্ছে নেতাদের। এর পিছনে কোনও রিমোট কন্ট্রোল কাজ করছে কি না তাও আতস কাঁচে ফেলে দেখছে দল।

 

.