মণীশ, দেবেশ অর্পিতা, ব্রাত্য, নাট্যস্বজন নিয়ে নতুন চাপে তৃণমূল
![মণীশ, দেবেশ অর্পিতা, ব্রাত্য, নাট্যস্বজন নিয়ে নতুন চাপে তৃণমূল মণীশ, দেবেশ অর্পিতা, ব্রাত্য, নাট্যস্বজন নিয়ে নতুন চাপে তৃণমূল](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2015/01/09/33504-natyachap.jpg)
নাট্যস্বজনে মুষলপর্ব। নতুন চাপে তৃণমূল। মণীশ মিত্র এবং দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের পর তৃণমূলপন্থী নাট্য সংগঠনের সচিব পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অর্পিতা ঘোষ। তবে এখানেই শেষ নয়। স্বজন ছাড়লেন খোদ ব্রাত্য বসুও। যদিও তাঁর সরে দাঁড়ানোকে একান্ত ব্যক্তিগত বলে জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাট্যকার তথা রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী। সারদা কেলেঙ্কারির জেরে এখন এমনিতেই কোণঠাসা তৃণমূল।
এবার সরকারপন্থী নাট্য সংগঠনের অন্দরের ক্যাচাকেচিতে নতুন চাপে তৃণমূল। একনায়কতন্ত্রের এবং স্বজনপোষণের অভিযোগ এনে আগেই নাট্যস্বজন ছেড়েছিলেন মণীশ মিত্র। দলতন্ত্রের অভিযোগ এনে মঙ্গলবার স্বজন ত্যাগ করেন নাট্যকার দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ও। বৃহস্পতিবার স্বজন ছাড়লেন খোদ সম্পাদক অর্পিতা ঘোষও। নন্দীগ্রাম-সিঙ্গুর থেকে নেতাই। বাম সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের হয়ে বিভিন্ন আন্দোলনে বার বার শরিক হয়েছিল বুদ্ধিজীবীমহল। যার মধ্যে ছিলেন অর্পিতা ঘোষ, মণীশ মিত্র, দেবেশ চট্টোপাধ্যায়ের মত নাট্য ব্যক্তিত্বরা। অর্পিতা ঘোষ এখন বালুরঘাটের তৃণমূল সাংসদ।
তারপরেও শাসকদলপন্থী সংগঠন ছাড়ায় প্রশংসা কুড়িয়েছেন সবার। কিন্তু কেন হঠাত্ নাট্যস্বজনের এই পরিণতি? জবাব একটাই। পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি, ক্ষমতার দম্ভ, এবং অতি মাত্রায় স্তাবকতা। মুখে না বললেও, সকলেরই ইঙ্গিত কিন্তু সংগঠনের সভাপতি ব্রাত্য বসুর দিকেই। তবে যাঁর বিরুদ্ধে একজোট হয়ে তৃণমূলপন্থী নাট্য সংগঠন ছাড়লেন মণীশ মিত্র, দেবেশ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা ঘোষ... সেই ব্রাত্য বসুও কিন্তু নিজেও ইস্তফা দিয়েছেন। যদিও তাঁর দাবি, সরে দাঁড়ানোর কারণ একান্ত ব্যক্তিগত।