সুদীপ্তর ব্যবসায়িকসঙ্গী ছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীও
সুদীপ্ত সেনের টাকা আদায়ে এবার অসমের এক ব্যবসায়ী ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল পুলিস। সারদা কর্তার সঙ্গে তাঁর ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। টাকার লেনদেনও হয়েছিল। সেই টাকা উদ্ধারেই আজ মাতঙ্গ সিংকে ডেকে পাঠানো হয়। অন্যদিকে, আলিপুর আদালত আজ সুদীপ্ত-দেবযানীকে ১৪ দিন কলকাতা পুলিসের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
সুদীপ্ত সেনের টাকা আদায়ে এবার অসমের এক ব্যবসায়ী ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল পুলিস। সারদা কর্তার সঙ্গে তাঁর ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। টাকার লেনদেনও হয়েছিল। সেই টাকা উদ্ধারেই আজ মাতঙ্গ সিংকে ডেকে পাঠানো হয়। অন্যদিকে, আলিপুর আদালত আজ সুদীপ্ত-দেবযানীকে ১৪ দিন কলকাতা পুলিসের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
বেলা আড়াইটে নাগাদ লালবাতি লাগানো গাড়িতে, রীতিমতো কনভয় নিয়ে বিধাননগর থানায় হাজির হন, অসমের ব্যবসায়ী ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মাতঙ্গ সিং। তার জন্য পুলিসের তরফে করা হয়েছিল আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দেখে বোঝার জো নেই রাজ্যের বৃহত্তম আর্থিক কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়ে যাওয়া একজন পুলিসি তলবে থানায় এসেছেন। বুধবার সারদাকাণ্ড নিয়ে জেরার জন্য মাতঙ্গ সিংকে ডেকে পাঠিয়েছিল বিধাননগর পুলিস।
কেন তলব মাতঙ্গ সিং-কে? সুদীপ্ত সেনকে কলকাতার একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম বিক্রি করেছিলেন মাতঙ্গ সিং। প্রায় ২৮ কোটি টাকায় শেয়ার হস্তান্তর করা হলেও রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিতে নাম পরিবর্তন করা হয়নি। পরে সুদীপ্তর খারাপ সময়ে প্রায় ২৪ কোটি টাকায় ওই সংবাদমাধ্যমটি কিনে নিতে চান মাতঙ্গ সিং। পোস্ট ডেটেড চেক দেওয়া হলেও তা এখনও ভাঙানো হয়নি।
অবশ্য জেরা শেষে মাতঙ্গ সিংএর দাবি ছিল অন্য। অন্যদিকে এ দিনই সুদীপ্ত ও দেবযানীকে নিজেদের হেফাজতে পেল কলকাতা পুলিস। এক এজেন্ট দেবযানী-সুদীপ্তর বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই মামলাতেই বুধবার, ওই দুজনকে এগারো জুন পর্যন্ত কলকাতা পুলিসের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত।