একই পরিবারের ৫ সদস্যের রহস্যমৃত্যু
ম্যুর অ্যাভিনিউয়ের একই পরিবারের ৫ সদস্যের মৃত্যু ঘিরে রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। তদন্তে উঠে এসেছে নানা তথ্য। যে ঘরে ৫ টি দেহ উদ্ধার হয় সেই ঘরটিতে সুপ্রতিম বোসের ২ মেয়ে, সারণি ও সহেলি থাকতেন বলে জানা গেছে।
ম্যুর অ্যাভিনিউয়ের একই পরিবারের ৫ সদস্যের মৃত্যু ঘিরে রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। তদন্তে উঠে এসেছে নানা তথ্য। যে ঘরে ৫ টি দেহ উদ্ধার হয় সেই ঘরটিতে সুপ্রতিম বোসের ২ মেয়ে, সারণি ও সহেলি থাকতেন বলে জানা গেছে। বোস পরিবারের ওই ফ্ল্যাটে আরও চারটি ঘর রয়েছে। সুপ্রতিম বোস ও তাঁর স্ত্রী থাকতেন আলাদা একটি ঘরে। সুপ্রতিমবাবুর বাবা স্বদেশ বোসও থাকতেন তাঁর নিজের ঘরে। তা সত্ত্বেও কেন সবার দেহ একই ঘরে মিলল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বিশেষ সূত্রে খবর, ব্যাঙ্কে প্রায় তিরাশি লক্ষ টাকা দেনা ছিল সুপ্রতিম বোসের। মাস দুয়েক আগে সুপ্রতিমবাবুর মার মৃত্যু হয়। এরপর তিনি বাবা স্বদেশ বোসকে গঙ্গোত্রী আবাসনের ফ্ল্যাটে নিয়ে আসেন। তার আগে স্বদেশবাবু ও তাঁর স্ত্রী ওই আবাসনেরই উল্টোদিকে অপর একটি আবাসনে থাকতেন।
রবিবার রাত পৌনে ২ টো নাগাদ গঙ্গোত্রী অ্যাপার্টমেন্টের ৩ তলার একটি ঘরের ভিতর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিস এবং দমকলে খবর দেওয়া হয়। পুলিস এসে ঘরের দরজা ভেঙে ঢোকার পর দেহগুলি পড়ে থাকতে দেখা যায়। বন্ধ ফ্ল্যাটের ভিতরে একই ঘরের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় পাঁচটি দেহই। বাড়িতে দুটি সারমেয় ছিল বলে জানা যায়। তার মধ্যে একটি সারমেয়ও মৃত অবস্থায় ঘরের মধ্যে থেকে মেলে। অপর সারমেয়টি সেইসময় ফ্ল্যাটের বাইরে ছিল বলে জানান প্রতিবেশীরা।
প্রতিবেশী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য আনুযায়ী ওই ফ্ল্যাট থেকে কোনওরকম আর্তচিত্কার শোনা যায়নি। যদি আগুন লেগে সকলের মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে তাঁরা প্রাণ বাঁচাতে চিত্কার করলেন না কেন, সেই প্রশ্ন উঠেছে। ফলে, মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা ক্রমেই বাড়তে থাকে। এরপরই তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে যান ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।