হাওড়ার উপনির্বাচনে দলের নির্দেশেই বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁত, দাবি মুকুলের

অম্বিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর জেরে ২০১৩ সালে হাওড়া সদর লোকসভা কেন্দ্রে হয় উপনির্বাচন।

Updated By: Jul 12, 2019, 09:27 PM IST
হাওড়ার উপনির্বাচনে দলের নির্দেশেই বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁত, দাবি মুকুলের

নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূলের অনুরোধ ২০১৩ সালে হাওড়া সদর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি বিজেপি। শুক্রবার এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তাঁর বক্তব্য, সে বার রাজনাথ সিংয়ের মধ্যস্থতা করেছিলেন তিনিই।                  

২০০৯ সালে সিপিএমের হাত থেকে হাওড়া ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। জয়ী হন অম্বিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মেয়াদ ফুরনোর আগেই প্রয়াত হন তৃণমূল সাংসদ। সে কারণে ২০১৩ সালে উপনির্বাচন হাওড়া সদর লোকসভা কেন্দ্রে। ওই উপনির্বাচনে নিকটবর্তী সিপিএম প্রার্থী শ্রীদীপ ভট্টাচার্যকে ২৬,৯৬৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন তৃণমূলের প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়া সদর কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী না দেওয়া নিয়ে তখনই উঠেছিল প্রশ্ন। শুক্রবার মুকুল রায় বলেন, '২০১৩ সালের উপনির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছিল বিজেপি। দলের নির্দেশে আমিই রাজনাথ সিংকে প্রার্থী প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিলাম। সেই অনুরোধ রেখেছিলেন তিনি'।        

প্রসঙ্গত, হাওড়া সদর লোকসভা উপনির্বাচনে অসীম ঘোষকে প্রার্থী করার কথা স্থির করছিল বিজেপি। কিন্তু পরে তারা প্রার্থী দেয়নি। ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটের নিরিখে হাওড়া সদর কেন্দ্রে বিজেপির ভোট ছিল ৪৯,৩২৪টি। অর্থাত্ বিজেপি প্রার্থী ৪০ হাজার ভোট পেলেও আসনটি পেয়ে যেত সিপিএম। ২০০৯ সালে বিজেপি পেয়েছিল ৩৭ হাজার ৭২১টি ভোট। বিজেপি প্রার্থী না দেওয়ায় তখন তৃণমূলের দিকেই সেই ভোট গিয়েছিল মত রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাদের মতে, তখন সবে পরিবর্তনের সরকার এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। বামেরা তখনও রাজ্যে বিরোধী শক্তি। ফলে এখনকার সঙ্গে তখনকার প্রেক্ষাপট ছিল একেবারেই ভিন্ন। 

 আরও পড়ুন- ১৭ কোটির দুর্গা প্রতিমা পুজো করে চমক দিতে চলেছে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার

.