মেটিয়াবুরুজে বাসিন্দাদের উত্খাত করে বিশেষ সম্প্রদায়কে তোষণ করছেন মমতা: মুকুল
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ মেটিয়াবুরুজ থানা থেকে একশো মিটার দূরে গুলিবিদ্ধ হন আরএসএস কর্মী বীর বাহাদুর সিং।
অঞ্জন রায়: গার্ডেনরিচে বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দিল পুলিস। ফিরে আসতে বাধ্য হলেন মুকুল রায়, অনুপম হাজরা ও সব্যসাচী দত্তরা। পরে সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় দাবি করেন, পুলিসের সহযোগিতায় বিজেপি নেতাদের উপরে হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। ছোঁড়া হয়েছে ইট-পাটকেল। রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন বলে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসতে পেরেছি। আরএসএস কর্মীর গুলিকাণ্ডে তোষণের অভিযোগও করেন বিজেপি নেতা।
মুকুল রায় বলেন,''১৩৭ নম্বর ওয়ার্ড আপনারা একবার ঘুরে আসুন। দেখবেন মেয়র ও মুখ্যমন্ত্রীর মদতে কীভাবে বেআইনিভাবে বহুতল নির্মাণ করা হচ্ছে! সমস্ত বাড়ি বেআইনি। সেখানকার আদি বাসিন্দাদের উত্খাত করা হচ্ছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে মন্দির। ফেলে দেওয়া হয়েছে বিগ্রহ। ভাঙা হয়েছে মহিলাদের শৌচালয়। অভিযোগ করা সত্ত্বেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।''
সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ মেটিয়াবুরুজ থানা থেকে একশো মিটার দূরে গুলিবিদ্ধ হন আরএসএস কর্মী বীর বাহাদুর সিং। সেই ঘটনায় এদিন গার্ডেনরিচে বিক্ষোভ সভার ডাক দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেই সভায় যাওয়ার আগে মাঝপথে বিজেপি নেতাদের আটকে দেয় পুলিস। মুকুল রায়ের কথায়, ''বিক্ষোভ সভার অনুমতির জন্য ডিসি পোর্টকে চিঠি দিয়েছিল বিজেপি। অনুমতি তো দেওয়া হয়নি, এমনকি ডিসির নেতৃত্বে ভেঙে দেওয়া হয়েছে মঞ্চ। বললাম, গার্ডেনরিচ থানার সামনে অবস্থান করব। কিন্তু কলকাতা পুলিস বলল, ঊর্ধতন নেতৃত্বের আদেশ আছে। পুলিস যেতে না দিলে তো যেতে পারব না। ফিরে এলাম।''
মুকুল রায়দের ঘিরে এদিন বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা। দেখানো হয় কালো পতাকা। মুকুল রায়ের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা পুলিসের সহযোগিতা নিয়ে আমাদের উপরে হামলা করল। ইট-পাথর ছুড়ল। ভয়াবহ পরিস্থিতি। রাজ্যে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পরিস্থিতি নেই। স্বাভাবিকভাবে চলে আসতে হল।
আপনারা কি রাষ্ট্রপতি শাসন চাইছেন? মুকুল রায়ের জবাব, রাষ্ট্রপতি শাসন চাইছি না। মানুষই চাইবে। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই। ৯৭ জন বিজেপি কর্মী প্রাণ দিয়েছেন। বাংলায় সংবিধান মানছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল বিধানসভায় যাওয়ার জন্য স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন। বিধানসভার গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এটা সংবিধানের লজ্জা। বাংলার সংস্কৃতির লজ্জা। সাংবিধানিক প্রধানকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আগের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তালা বন্ধ করে দেওয়া হল। অরাজকতা চলছে পশ্চিমবঙ্গে। বিজেপি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পদক্ষেপ করব। মেটিয়াাবুরুজ চলোর ডাক দেব। দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- মেটিয়াবুরুজে গুলিকাণ্ডে গ্রেফতারির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা দিলেন কৈলাস