“চিকিত্সকদের প্রতি সহানুভূতি নেই, মুখ্যমন্ত্রীর এখনই পদত্যাগ করা উচিত”, মমতাকে পাল্টা কটাক্ষ মুকুলের

“আহত চিকিত্সকদের প্রতি  কোনও সহানুভূতি নেই। এই কথা স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রকাশ। ওঁর পদত্যাগ করা উচিত।” 

Updated By: Jun 13, 2019, 12:56 PM IST
“চিকিত্সকদের প্রতি সহানুভূতি নেই, মুখ্যমন্ত্রীর এখনই পদত্যাগ করা উচিত”, মমতাকে পাল্টা কটাক্ষ মুকুলের

নিজস্ব প্রতিবেদন: “আহত চিকিত্সকদের প্রতি  কোনও সহানুভূতি নেই। এই কথা স্বৈরাচারী মনোভাবের প্রকাশ। ওঁর পদত্যাগ করা উচিত।” SSKM-এ  মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা কটাক্ষ করলেন বিজেপিনেতা মুকুল রায়। তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী হিসাবে  ব্যর্থ , স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে ব্যর্থ। পদত্যাগ করা উচিত এই মুহূর্তেই।” তিনি আরও বলেন, "হিটলারকেও হার মানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জুনিয়র চিকিত্সকদের হোস্টেল ছাড়ার যে কথা বলছেন, তা অনৈতিক।"

 

প্রসঙ্গত, এদিন SSKM-এ রোগীর পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিস্ফোরক কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এরা ডাক্তার! কী ভেবেছে কী ওরা? অনেকে নাটক করছে। যার নাটক করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাদের বুদ্ধিতে কাজ করছে ওরা? ডাক্তারিতে হিন্দু মুসলমান হয় না।”

এদিন বেলায় রোগীর পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে যান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন, তাঁরা শরীর স্বাস্থ্যের খবর  নেন। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একটা ঘটনা হয়েছে তো হয়েছে। ৫ জন গ্রেফতার হয়েছে। দুটো দিকই দেখা উচিত।” চিকিত্সকদের উদ্দেশে বলেন, “কী ভেবেছে কী ওরা? ওরা ডাক্তার?  নাটক করছে ওরা!  এতদিন ধরে কীসের বিক্ষোভ চলছে।”

“কী ভেবেছে ওরা? ওরা ডাক্তার? নাটক করছে! বুঝুন কাদের ভোট দিয়েছেন”, SSKM-এ চিকিত্সকদের উদ্দেশে বললেন মমতা

তিনি বলেন, “ডাক্তারিতে হিন্দু মুসলমান হয় না। যাঁরা করছেন পলিটিক্যালি খেলছেন। চিকিত্সায় রাজনীতি বরদাস্ত নয়। কাদের ভোট দিয়েছেন ভাবুন!  কাদের বুদ্ধিতে এসব চলছে, সবাই বুঝতে পারছে। এগুলো মেনে নেব না।” তাঁর ঘোষণা, যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁরা বহিরাগত, এটা মেনে নেওয়া হবে না। কড়া পদক্ষেপ করা হবে। তিনি নির্দেশ দেন, অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে হবে চিকিত্সকদের। আজকের মধ্যে যারা কাজে যোগ দেবে না, সরকার তাদের দায়িত্ব নেবে না। ৪ ঘণ্টা সময়সীমা বেঁধে দেন তিনি। না হলে জুনিয়র চিকিত্সকদের হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশও দেন তিনি। 

মুখ্যমন্ত্রী যখন হাসপাতালের ভিতরে এসব কথা বলছেন, তখনই বাইরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন জুনিয়র চিকিত্সকরা।

.