নিজস্ব প্রতিবেদন:  'তৃণমূল (TMC) তো পারিবারিক দল। যে যেভাবেই বলুক না কেন, এটা পিসি-ভাইপোর দল। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখানে কিছু বলার নেই।' দিঘা -শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের (DSDA) থেকে শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) অপসারণ নিয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। তবে তাঁর মতে, 'শিশিরদা প্রবীণ মানুষ। দীর্ঘদিন সাংসদ ছিলেন। জীবনের শেষলগ্নে এসে এটা না হলেই বোধহয় ভালো হত।' তাহলে কি এবার বিজেপিতে (BJP) যোগ দেবেন শিশির (Sisir Adhikari)? মুকুলের জবাব, 'বিজেপিতে আসবেন কিনা, জানি না। তবে নিশ্চয়ই যোগাযোগ হবে। কথা হলে নিশ্চিতভাবেই দল একটা সিদ্ধান্ত নেবে।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উল্লেখ্য, ভোটের মুখে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তারপর থেকে কাঁথির অধিকারীর পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের (TMC) দূরত্ব বাড়ছে। দিন কয়েক আগে কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সৌমেন্দু অধিকারীকে। এবার দলীয় নেতৃত্বের কোপে পড়লেন শিশির অধিকারীও (Sisir Adhikari)। দিঘা -শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের (DSDA) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল কাঁথির সাংসদকে। তাঁর জায়গায় নতুন চেয়ারম্যান হলেন অখিল গিরি। যদিও Zee ২৪ ঘণ্টাকে তিনি জানিয়েছেন, 'আমার কাছে সরকারি কোনও কাগজ এসে পৌঁছয়নি। আমি সংবাদমাধ্যমেই শুনলাম। সরকারি কাগজ পেলে আগামিকাল থেকে অফিসিয়ালি কাজ শুরু হবে। অনেকদিনই কাজকর্ম হয়নি। সামনে ভোট। এবার কাজ করতে হবে।'  হঠাৎ কেন এই রদবদল? অখিল গিরির বক্তব্য, 'শিশিরবাবু থাকতে চাইলে নিশ্চয়ই থাকবেন, উনি অসুস্থ বলেই সম্ভবত এই সিদ্ধান্ত, আর কোনও কারণ নেই।'


আরও পড়ুন: হাওড়া তৃণমূলে বড়সড় ভাঙন! আগামিকাল BJP-তে ৫০০০ কর্মী নিয়ে শ্রীকান্ত ঘোষ


প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরেই কাঁথিতে সভা করেন সৌগত রায় ও ফিরহাদ হাকিম। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেই সভার যোগ দেননি শিশির অধিকারী। বস্তুত, অধিকারীর পরিবারের কেউই সভায় ছিলেন না। কাঁথি পুরসভার প্রশাসক বোর্ড ভেঙে সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন সৌমেন্দু। পরে দাদা শুভেন্দু হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদে বসেছেন সিদ্ধার্থ মাইতি। জেলার রাজনীতিতে তিনি অখিল গিরি ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।