বৈশাখী নন, অভিষেকের কারণেই মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন শোভন: মুকুল
অঞ্জন রায়
অঞ্জন রায়
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফার নেপথ্যে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু বৈশাখীর বন্দ্যোপাধ্যায় নন, বরং মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর কারণেই শোভন পদ ছেড়েছেন বলে দাবি করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে মুকুল রায় বলেন, ''এই ধরনের পরিস্থিতি আগেও তৈরি হয়েছিল, কিন্তু তখন ইস্তফা দেওয়ার দরকার পড়েনি। এখন তবে কেন? অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কারণে দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সে কারণে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে বাধ্য হলেন''।
বলে রাখি, গত মাসে তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নতুন সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী। ওই জেলার পর্যবেক্ষক নিযুক্ত হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, বলেন, "তৃণমূলে মুষল পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। পদত্যাগ একজনের না, আরও হবে। তৃণমূলের পতন শুরু হয়ে গিয়েছে। এটা তো সবে শুরু। জনবিরোধী নীতি, দুর্নীতির জন্য এবার ধীরে ধীরে ধবংসের দিকে এগোবে তৃণমূল।"
রথযাত্রা নিয়ে আজ এক সভায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ''রথের ঘোষণা সবে হয়েছে, তাতেই উইকেট পড়তে শুরু হয়েছে। রথ সারা রাজ্য ঘোরার পর আর কত উইকেট পড়বে কে জানে!''
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিকালে মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। কাজকর্ম নিয়ে গতকাল বিধানসভায় মুখমন্ত্রীর ধমকের মুখে পড়েন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর কক্ষে মিনিট দশেক দুজনের মধ্যে একান্তে কথা হয়। তখনই নেত্রীর ধমকের মুখে পড়েন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ব্যক্তিগত জীবনে টানাপোড়েনের জেরে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব কোনওটাই তিনি ঠিকমতো পালন করতে পারছেন না বলে, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সাফ জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এরপর নবান্নে দমকল দফতরের অনুষ্ঠানেও মঞ্চে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে রাগত স্বরে কিছু বলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তারপর সাংবাদিক বৈঠকে না গিয়ে নিজের ঘরে চলে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়। ঘর থেকে বেরিয়ে সোজা মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি গৌতম স্যানালের কাছে গিয়ে তাঁর হাতে মুখবন্ধ খামে ইস্তফাপত্র তুলে দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এরপর বেরিয়ে যান নবান্ন ছেড়ে।
আরও পড়ুন- বুঝিয়েছিলাম, বোঝেনি, ইস্তফা গ্রহণ করেছি, শোভন বিদায়ে প্রতিক্রিয়া মমতার