ভেঙে পড়া বাড়ি নিয়ে গার্ডেনরিচে ফের তরজায় মুন্না-মোক্তার
ফের গার্ডেনরিচে মুন্না-মোক্তারের লড়াই। এ বার একটি ভেঙে পড়া বাড়ি দখলের চেষ্টার অভিযোগ গার্ডেনরিচে পুলিস খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মুন্নার বিরুদ্ধে।
ফের গার্ডেনরিচে মুন্না-মোক্তারের লড়াই। এ বার একটি ভেঙে পড়া বাড়ি দখলের চেষ্টার অভিযোগ গার্ডেনরিচে পুলিস খুনে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মুন্নার
বিরুদ্ধে।
গতকাল রাত সাড়ে নটা নাগাদ গার্ডেনরিচ-পাহাড়পুর রোডে ভেঙে পড়ে একটি বাড়ি। ওই বাড়িতেই রয়েছে একটি খাবার দোকান।
বাড়ি ভেঙে আহত হন দোকানের কয়েকজন কর্মচারী। খবর সংগ্রহে পৌঁছয় সংবাদ মাধ্যম। সেই সময় ঘটনাচক্রে ওই বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন মোক্তার-
ঘনিষ্ঠ জুলফিকার আলি। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর রুবিনা বিবির অনুগামীরা সংবাদ মাধ্যমকে খবর সংগ্রহে বাধা দেন বলে অভিযোগ। রুবিনা বিবির স্বামী তারবেজ আনসারি ওরফে টাপ্পুর দলবল যাঁরা আবার মুন্নারও অনুগত, তাঁরা সংবাদ মাধ্যমকে ডেকে আনার শাস্তি দিতে চড়াও হয় জুলফিকারের উপরে। কিন্তু আদতে সংবাদ মাধ্যমের ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর সঙ্গে জুলফিকারের কোনও যোগাযোগই ছিল না। ওই সময় তাঁর উপস্থিতি একেবারেই কাকতালীয়। জানা যাচ্ছে, প্রোমোটিংয়ের জন্য বহুদিন ধরেই তারবেজের নজর ছিল ভেঙে পড়া বাড়িটিতে।
শুক্রবার বাড়িটি ভেঙে পড়ার পর সংবাদ মাধ্যম পৌঁছনোয়, তার সাধের স্বপ্নে বাধা পড়ে যাওয়ার আশঙ্কাতেই মারমুখী হয়ে ওঠে মুন্নার আশীর্বাদধন্য তারবেজ। সেখানে জুলফিকারের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে সে ধরেই নেয় মোক্তারগোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে যুক্ত। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও একবার বোঝা গেল, পুলিস খুনের পর ক্ষমতাতো কমেইনি, বরং এখনও আধিপত্য বিস্তারেই ব্যস্ত পুরমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এই নেতা এবং তাঁর দলবল।