থুতু গিললে রোজা ভঙ্গ হয় না, বাড়িতেই নমাজ পড়ার পরামর্শ দিলেন নাখোদার ইমাম
মসজিদে গিয়ে নমাজ পড়ার তো প্রশ্নই নেই, এমনকী নাখোদা ইমাম জানান, বাড়িতে বেশি জায়গা থাকলে প্রতিবেশীদের ডেকে নমাজ পড়া যাবে না
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাত পোহালেই রমজান। করোনা আবহে অন্য মাত্রা পাচ্ছে এ বারের রমজান। এক দিকে লকডাউন, অন্য দিকে করোনা আতঙ্কে উদ্বেগে কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করলেন নাখোদা মসজিদের ইমাম সফিক কাসমি।
মৌলানা সফিক কাসমি জানান, রমজান চলাকালীন যত্রতত্র থুতু ফেলবেন না। অনেকেরই ধারণা থুতু গিলে ফেললে রোজা ভেঙে যায়। এটা ভুল ধারণা বলে জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘রোজার সময় অল্প থুতু এলে গিলে ফেলুন। বেশি এলে বেসিনে ফেলতে পারেন কিন্তু রাস্তায় ফেলবেন না।’ পাশাপাশি তাঁর পরামর্শ, নমাজ পড়ুন নিজের বাড়িতেই। অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নমাজ পড়তে হবে।
আরও পড়ুন- বয়স ষাট পেরোলে করোনার ঝুঁকি বাড়ে, ছাঁটাই শুরু করল রেল
মসজিদে গিয়ে নমাজ পড়ার তো প্রশ্নই নেই, এমনকী নাখোদা ইমাম জানান, বাড়িতে বেশি জায়গা থাকলে প্রতিবেশীদের ডেকে নমাজ পড়া যাবে না। নিজের সুরক্ষিত থেকে নমাজ পড়তে হবে। ইফতার পার্টি দেওয়ার প্রয়োজন নেই। জমায়েত এড়াতে এ ধরনের সংস্কৃতিকে এ সময়ে বর্জন করার পরামর্শ দিয়েছেন ইমাম।
উল্লেখ্য, ভারতে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আসার মতো কোনও লক্ষণ নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারবার বলেছেন, করোনাকে আমন্ত্রণ জানালেই ঘরে আসতে বাধ্য। লকডাউনে নিজের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আপতত ঘরই মন্দির, মসজিদ, গুরুদ্বার। তাঁর কথায়, ‘কী করা যাবে সামনেই রমজান। আপাতত ঘরই মন্দির, ঘরই মসজিদ, ঘরই গুরুদ্বার।’ নাখোদার ইমাম বলেন, প্রতিবেশীরা কষ্টে থাকলে তাঁদের মুক্ত হস্তে দান (জাকাত) করুন। প্রতিবেশীদের ভাল-মন্দের খেয়াল রাখার কথা বলেন তিনি।