ফিরহাদদের গ্রেফতারির দিন Nizam Palace-এ কেন মুখ্যমন্ত্রী, প্রশ্ন বিচারপতির
অভিযুক্তদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য নেতারা বিক্ষোভে প্ররোচনা দিতে যাননি। বরং তাঁরা বিক্ষোভকারীদের থামানোর চেষ্টা করেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়দের নিজাম প্যালেসে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ৫-৬ ঘণ্টা সেখানে তিনি থাকেন। সিবিআই ডিআইজির ঘরের সামনে চেয়ার নিয়ে বসেও পড়েন তিনি। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই দেখছে সিবিআই। নারদ মামলার সওয়াল জবাবে উঠল সেই প্রশ্ন।
আরও পড়ুন-নারদ মামলায় অভিযুক্তদের নানা কৌশলে জেলে ঢোকাতে চাইছে CBI: সিংভি
নারদ মামলার সওয়াল করতে উঠে সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন, ফিরহাদদের গ্রেফতারের পর নিজাম প্যালেসে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেখানে গিয়ে তিনি তাঁকেও গ্রেফতারের দাবি করেন। এরপরই কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর এভাবে ধরনায় বসে পড়াটাও নজিরবিহীন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে উনি কি এটা করতে পারেন? এরকম হলে সাধারণ গ্রেফতারের ক্ষেত্রেও এটা একটা রেওয়াজ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন-নারদ স্থানান্তর মামলায় মুখ্যমন্ত্রীর নাম যুক্ত করল CBI, পার্টি করা হল কল্যাণ-মলয়কে
এনিয়ে বলতে উঠে অভিযুক্তদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি(Abhisekh Manu Singvi) বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য নেতারা বিক্ষোভে প্ররোচনা দিতে যাননি। বরং তাঁরা বিক্ষোভকারীদের থামানোর চেষ্টা করেন। যারা গ্রেফতার হয়েছিলেন তারা ওঁর সহকর্মী। ফলে তাদের জন্য কলকাতায় বিক্ষোভ ছড়িছে এমন কথা ঠিক নয়। মুখ্যমন্ত্রী গিয়েছিলেন এক কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতরে। রাজ্য পুলিসের দফতারে গেলে প্রভাব খাটানোর যুক্তি তোলা যেতে পারত।
সিংভির ওই সওয়ালের পরই বিচারপতির প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী তো খুব কম সেখানে থাকেননি। প্রায় ৫-৬ ঘণ্টা সেখানে ছিলেন। এর কী যুক্তি রয়েছে, আপনি কী বলবেন? পাশাপাশি, শুনানি চলাকালীন নিম্ন আদালতে ছিলেন খোদ রাজ্যের আইনমন্ত্রী? এটা কি কোনও গুরুতর বিষয় নয়?