দিল্লিতে নিজের নাক কাটা গিয়েছে, BJP-র যাত্রা ভঙ্গে উত্ফুল্ল কংগ্রেস নেতৃত্ব
দিল্লিতে নেতৃত্বের সঙ্কটে ভুগছে কংগ্রেস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ- দিল্লিতে আরও একবার ভরাডুবির পর উত্ফুল্ল কংগ্রেসের ভাবখানা এমনই। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত টানা দিল্লির ক্ষমতায় ছিল শতাব্দী প্রাচীন দলটি। ২০১৫ সালে সেই কংগ্রেসই দিল্লিতে পেয়েছিল গোল্লা। এবারও খাতা খুলতে পারেনি তারা। দলের এমন হাল হলেও বিজেপিকে রোখা গিয়েছে, তাতেই খুশি কংগ্রেস নেতৃত্ব। অধীর চৌধুরী থেকে অভিষেক মনু সঙ্ঘভি- সকলের মুখেই এক রা।
দিল্লিতে কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিতেন শীলা দীক্ষিত। কিন্তু এবার তিনি না থাকায় নেতৃত্বের সঙ্কটে ভুগছে তারা। দিল্লিতে তিন দফায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন শীলা। গতবছর প্রয়াত হন বর্ষীয়ান নেত্রী। বিজেপি থেকে কীর্তি আজাদকে ভাঙিয়ে এনেও নেতৃত্বের অভাব কাটেনি। তা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। এদিন তিনি বলেন,''শীলা দীক্ষিতের মতো ব্যক্তিত্বের অভাব টের পাচ্ছি। ওনার মতো কাউকে পাওয়া গেল না।''
তবে একইসঙ্গে বিজেপি দিল্লিতে আটকে যাওয়ায় খুশি অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তাঁর কথায়,''বিজেপি হারায় আমি খুশি। আপের জেতায় ততটা কষ্ট হচ্ছে না। শিক্ষাক্ষেত্রে ভালো কাজ করেছে আপ।'' নেতৃত্বের অভাবের কথা মেনে নিয়েছেন সঞ্জয় ঝা। তিনি বলেন, ''এটা তো ঘটনা, নেতৃত্বের সংকট কাটাতে পারিনি। এটা কর্মীদের মনোবল ভেঙে দিয়েছে।''
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীর মুখেও একই সুর। অধীরের কথায়,''তৃতীয়বারের জন্য আম আদমি পার্টি ক্ষমতায় আসবে, এ তো জানা কথাই। কংগ্রেসের হার অবশ্যই মেনে নিতে পারছি না। তবে বিজেপি ও তাদের সাম্প্রদায়িক নীতির বিরুদ্ধে আপের জয় বেশ তাত্পর্যপূর্ণই।''
Congress MP AR Chowdhury: Everyone knew that Aam Aadmi Party will return to power for the third time. Congress's defeat will not send a good message. The victory of AAP against the Bharatiya Janata Party & its communal agenda is significant. pic.twitter.com/HD2vQhFfpn
— ANI (@ANI) February 11, 2020
শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তহীনতার অভিযোগ করেছেন প্রণবকন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ''দিল্লিতে আরও একবার পর্যুদস্ত হলাম আমরা। আত্মপর্যালোচনা অনেক হয়েছে, এবার কাজের সময়। শীর্ষস্তরে সিদ্ধান্তে নিতে গড়িমসি হয়েছে। ঘাটতি ছিল কৌশলে। রাজ্যস্তরে নেতাদের মধ্যে মতের অমিল, তৃণমূলস্তরের সঙ্গে সংযোগের অভাব ও কর্মীদের মনোবলের অভাব রয়েছে। গোটা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে আমি নিজেও দায় স্বীকার করছি।''
We r again decimated in Delhi.Enuf of introspection, time 4 action now. Inordinate delay in decision making at the top, lack of strategy & unity at state level, demotivated workers, no grassroots connect-all r factors.Being part of d system, I too take my share of responsibility
— Sharmistha Mukherjee (@Sharmistha_GK) February 11, 2020
দিল্লিতে ২০১৫ সালের বিধানসভা ভোটে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছিল কংগ্রেসকে। সেবার ইউপিএ জমানার ১০ বছরের দুর্নীতির অভিযোগে নাস্তানাবুদ ছিল তারা। ৫ বছর পরও সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারল না তারা। বরং দিল্লিতে ভোটের হার আরও কমেছে।
আরও পড়ুন- 'ভেঙে পড়ার কিছু হয়নি', রাজধানীতে বিজেপি ধরাশায়ী হওয়ার মুহূর্তেও কর্মীদের টোটকা মনোজের