উচ্চশিক্ষায় নতুন বিল আনতে চাইছে রাজ্য

বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ওপর উচ্চশিক্ষা সংসদের নজরদারি বাড়াতে এবার নতুন বিল আনার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। আগামী মাসের বিশেষ অধিবেশনেই নতুন বিল আনার চিন্তা ভাবনা চলছে। নতুন বিলে উচ্চশিক্ষা সংসদের কাজের এক্তিয়ার  স্পষ্ট করে দেওয়া হবে। বাড়ানো হবে উচ্চশিক্ষা সংদের ক্ষমতাও।    

Updated By: Jul 31, 2013, 05:55 PM IST

বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ওপর উচ্চশিক্ষা সংসদের নজরদারি বাড়াতে এবার নতুন বিল আনার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। আগামী মাসের বিশেষ অধিবেশনেই নতুন বিল আনার চিন্তা ভাবনা চলছে। নতুন বিলে উচ্চশিক্ষা সংসদের কাজের এক্তিয়ার  স্পষ্ট করে দেওয়া হবে। বাড়ানো হবে উচ্চশিক্ষা সংদের ক্ষমতাও।    
রাজ্যে  সরকার বদলের পরেই  উচ্চশিক্ষা সংসদের  চেয়ারম্যান সুবিমল বসু পদত্যাগ করেন।  উচ্চশিক্ষা সংসদের দায়িত্বে আসেন মুখ্যমন্ত্রীর  ঘনিষ্ট সুগত মার্জিত। পালাবদল হতেই  উচ্চশিক্ষা সংসদ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তদন্ত শুরু করে। কখনও স্বতপ্রণোদিত হয়ে আবার কখনও বা নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে সংসদ। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সংসদ সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশও দিতে শুরু করে। বিভিন্ন পদে নিয়োগ, ছাত্রছাত্রী ভর্তি পদ্ধতি, পরীক্ষা ব্যবস্থা সহ বিভিন্ন বিষয়েও নির্দেশ দেওয়া শুরু করে উচ্চশিক্ষা সংসদ। সংসদের কাজ নিয়ে  শুরু হয় হইচই। প্রশ্ন ওঠে, উচ্চশিক্ষা সংসদ কীভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিচ্ছে। উচ্চশিক্ষা সংসদের এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
 
বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেও প্রতিবাদ আসায় শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসেত হয় উচ্চশিক্ষা সংসদকে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে নির্দেশ জারি করে সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হয় সংসদকে। এই পরিস্থিতিতে উচ্চশিক্ষা সংসদের ক্ষমতা বাড়াতে  বিল আনার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। বিলে নির্দিষ্টভাবে বলা থাকবে সংসদ কোন কোন ক্ষেত্রে কী কী কাজ করতে পারবে যেমন, সংসদ কোনও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রয়োজনে ফাইল চেয়ে আনতে পারবে। সংসদ প্রয়োজন মনে করলে কোনও ঘটনার নিজে থেকে তদন্ত করতে পারবে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ কর্তৃপক্ষ সংসদকে সাহায্য করতে বাধ্য থাকবে। সংসদ কোনও নির্দেশ দিলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তা মানতে বাধ্য থাকবে।
রাজ্য সরকার মনে করছে বিলের মাধ্যমে এই বিষয়গুলোকে স্বীকৃতি দিলে আগামীদিনে উচ্চশিক্ষা সংসদের কাজের ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে। যদিও  অনেকেরই ধারণা বিলের মাধ্যমে আসলে সরকার সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে নিজেদের প্রভাব খাটাতে চাইছে।  

.