হুলিয়া বদলেও লাভ হল না, নিমতায় দেবাঞ্জন খুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত প্রিন্স

জি ২৪ ঘণ্টার খবরে তত্পর হয়েছিল পুলিস।নিমতাকাণ্ডের তদন্তে গতি আনে বারাকপুর কমিশনারেট। 

Reported By: বিক্রম দাস | Updated By: Oct 19, 2019, 10:57 PM IST
হুলিয়া বদলেও লাভ হল না, নিমতায় দেবাঞ্জন খুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত প্রিন্স

নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোল বদলে ফেলেছিল। কিন্তু কাজে এল না। নিমতাকাণ্ডে নিমতাকাণ্ডে পুলিসের জালে ধরা পড়ল মূল অভিযুক্ত প্রিন্স। বজবজ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। আগেই গ্রেফতার হয়েছে অন্য অভিযুক্ত বিশাল মারু। তার স্কুটি নিয়ে ঘটনার রাতে চম্পট দেয় প্রিন্স। তবে খুনি কি প্রিন্স? নাকি সুপারি দিয়ে কাজ হাসিল? উত্তর খুঁজছে পুলিস। 

জি ২৪ ঘণ্টার খবরে তত্পর হয়েছিল পুলিস।নিমতাকাণ্ডের তদন্তে গতি আনে বারাকপুর কমিশনারেট। আর তারপরই বজবজে ধরা পড়ল প্রিন্স সিং। সিম বদলেও পুলিসের নজর এড়াতে পারল না মূল অভিযুক্ত। বেপাত্তা হওয়ার পর দাড়ি-গোঁফ কেটে চুলের কাট বদলে নিয়েছিল প্রিন্স। চশমা পরাও ছেড়েছিল সে। কিন্তু পুলিস তার আত্মীয়দের উপরে নজর রাখছিল। বজবজে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়  এফআইআরে আগেই বিশাল মারুর নাম ছিল। শুক্রবার তাকে আটকের পর থেকেই শুরু হয় লাগাতার জেরা। তারপর গ্রেফতার করা হয়। নবমীর রাতের পার্টিতেও ছিল বিশাল।

বিশালের বিরুদ্ধে খুন, খুনের ষড়যন্ত্র, খুন করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা এবং বেআইনি অস্ত্র রাখার মামলা করেছে পুলিস। আপাতত ১১ দিনের পুলিস হেফাজতে বিশাল মারু। ৭ অক্টোবর রাতে পানশালায় উদ্দাম পার্টিতে দেবাঞ্জনের সঙ্গে তাঁর বান্ধবী ছাড়াও ছিল আরও ১৫ জন বন্ধু।

নবমীর দুপুরে বিশালের স্কুটি ছিল প্রিন্সের বাড়িতে। ওই স্কুটিতেই ওই রাতে চম্পট দেয় প্রিন্স। রাত দেড়টার পর খুন হন দেবাঞ্জন। সেক্ষেত্রে প্রিন্স নিজে খুন করেছেন, নাকি কাউকে দিয়ে খুন করিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। নবমীর দিন সকালে বান্ধবী ও অন্য বন্ধুদের নিয়ে একটি পাঁচতারা হোটেলে মধ্যাহ্নভোজন করেন দেবাঞ্জন। বিল হয়েছিল ৫০ হাজার টাকা। 

পার্টি থেকে বান্ধবীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথেই বেজে ওঠে দেবাঞ্জনের মোবাইল। গ্রুপের এক বান্ধবীর বয়ফ্রেন্ডকে মারার জন্য দেবাঞ্জনকে ডাকে এক বন্ধু। দেবাঞ্জনের বান্ধবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই তথ্য মিলেছে বলে পুলিস জানিয়েছে। তরুণীর দাবি, এই ফোন পাওয়ার পরই তড়িঘড়ি তাঁকে বাড়িতে নামিয়ে দেন দেবাঞ্জন। কিন্তু তারপর কী হয়েছিল? দেবাঞ্জন কোথায় গিয়েছিলেন? বলতে পারেননি ওই তরুণী। কোন নম্বর থেকে ফোন এসেছিল, কে ফোন করেছিল, কেনই বা বন্ধুর বয়ফ্রেন্ডকে মারার কথা বলেছিল, তা জানতে দেবাঞ্জন এবং তাঁর বান্ধবীর কল ডিটেলস খতিয়ে দেখছে পুলিস। 

আরও পড়ুন- ইরাক, সিরিয়ায় এমনটা হয় না, চাইলে আইনি সাহায্য দেব, কংগ্রেস নেতার পাশে দিলীপ

.