আদৌ কি বাস্তবায়িত হবে কলকাতা-ইউরোপ ননস্টপ ফ্লাইট?
কলকাতা থেকে সরাসরি ইউরোপ-আমেরিকা। স্বপ্নের উড়ানে আপাতত বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন। কেননা, বেশিরভাগ ইউরোপীয় এয়ারলাইন্সই এই উড়ানকে লাভজনক মনে করছে না। কোনও সংস্থা আবার চাপিয়ে দিয়েছে একাধিক শর্ত। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে আসছেন অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী। সঙ্গে থাকছেন ইউরোপ ও আমেরিকার একাধিক বিমান পরিবহণ সংস্থার প্রতিনিধি।
ওয়েব ডেস্ক: কলকাতা থেকে সরাসরি ইউরোপ-আমেরিকা। স্বপ্নের উড়ানে আপাতত বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন। কেননা, বেশিরভাগ ইউরোপীয় এয়ারলাইন্সই এই উড়ানকে লাভজনক মনে করছে না। কোনও সংস্থা আবার চাপিয়ে দিয়েছে একাধিক শর্ত। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে আসছেন অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী। সঙ্গে থাকছেন ইউরোপ ও আমেরিকার একাধিক বিমান পরিবহণ সংস্থার প্রতিনিধি।
আশার আলো দেখাচ্ছে না কোনও সংস্থাই। আর সেকারণেই প্রশ্নের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। আদৌ কি বাস্তবায়িত হবে কলকাতা-ইউরোপ ননস্টপ ফ্লাইট? প্রস্তাব দিয়ে সপ্তাহখানেক আগে লুফত্হানসা, টার্কি ও ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কাছে চিঠি পাঠায় রাজ্য। জবাবে বেশিরভাগ এয়ারলাইন্সই যাত্রীসংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে।
যে কারণে একসময় কলকাতা ছেড়েছিল ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, এক্সিকিউটিভ প্যাসেঞ্জার না মেলার সেই কারণকেই এবারও শিখণ্ডী করছে বিশ্বের প্রথম সারির এই উড়ান সংস্থা।
লুফত্হানসার বক্তব্য, এরাজ্যে কত এক্সিকিউটিভ প্যাসেঞ্জার পাওয়া যাবে? কলকাতা থেকে নিয়মিত ইউরোপ ও আমেরিকার যাত্রী পাওয়া যাবে কি? যাত্রীদের হোটেলে রাখতে হলে কতটা আধুনিক পরিষেবা মিলবে? এয়ারবাস চালালে নিয়মিত আসন ভরবে তো? এয়ারবাস রাখার পর্যাপ্ত হ্যাঙ্গার পাওয়া যাবে কি? রাজ্য কতটা কর ছাড় দিতে পারবে?
তুরস্ক এয়ারলাইন্স আবার অন্য সমস্যার কথা তুলেছে।
বিদেশমন্ত্রক এখনও সব শহরে এই সংস্থাকে উড়ানের অনুমতি দেয়নি। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের অনুমতি আদায়ের ভার রাজ্যের ওপরই ছেড়েছে টার্কি এয়ারওয়েজ। তারাও যাত্রী মেলা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলির শর্ত পূরণ করাই রাজ্যের কাছে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, লাভজনক না হলে কোনও সংস্থাই পরিষেবা চালু করতে রাজি হবে না।