জোটেনি জামিনের খরচ, জেলেই রয়েছেন নোনাডাঙ্গার ধৃতরা
দ্বিতীয় দফায় নোনাডাঙা থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল পুলিস। কিন্তু জোরাল কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেনি আদালতে। ফলে জামিন হয়েছে সবারই। কিন্তু আদালতের নির্দেশ প্রত্যেককেই দিতে হবে ৫,০০০ টাকা। ফলে জামিন পেয়েও নতুন করে বিপাকে তাঁরা।
উচ্ছেদের প্রতিবাদ করতে গিয়ে এখন নতুন এক সমস্যার মুখে নোনাডাঙার মানুষ। দ্বিতীয় দফায় নোনাডাঙা থেকে ১১ জনকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছিল পুলিস। কিন্তু জোরাল কোনও প্রমাণ হাজির করতে পারেনি আদালতে। ফলে জামিন হয়েছে সবারই। কিন্তু আদালতের নির্দেশ প্রত্যেককেই দিতে হবে ৫,০০০ টাকা। ফলে জামিন পেয়েও নতুন করে বিপাকে তাঁরা।
গত ২৮ এপ্রিল ১১ জনকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিস তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে কয়েকটি ইটের টুকরো আর ভাঙা টিনের অংশ। অথচ পুলিস দাবি করেছিল নোনাডাঙার এই উচ্ছেদ বিরোধীরা আসলে মাওবাদীদের সঙ্গী। বলা বাহুল্য আদালতে সেই অভিযোগ ধোপে টেকেনি। প্রত্যেকেরই জামিন হয়েছে। কিন্তু আদালতের এই নির্দেশ হতদরিদ্র মানুষগুলির সামনে খুশির বদলে হাজির করেছে নতুন সঙ্কট! আইন প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই সমান। ফলে পুলিসের দেওয়া আইনের প্যাঁচে ৫,০০০ টাকা করে জামিন দিতেই হবে। আর তার জন্যই তুলতে হচ্ছে চাঁদা। প্রতিবাদে সামিল হয়ে ছ`দিন পুলিস হেফাজতে থাকার পর এবার আর্থিক গুনাগার। নুন আনতে পান্তা ফুরনো এই মানুষগুলির অপেক্ষায় নোনাডাঙা। তাই চাঁদা দিয়ে দায় মেটানোর নতুন লড়াইয়ের সাক্ষী নোনাডাঙা।