Omicron: ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েও কোয়ারেন্টাইন বিধি ভঙ্গ, অভিযুক্ত শহরের এক নামী চিকিত্সকের মেয়ে-জামাই
ওমিক্রন রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরদিনই বেলেঘাটা আইডি যাবেন বলে তাঁরা ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে নেন। হাসপাতালে যাবেন বলে তাঁরা অ্যাম্বুল্য়ান্সেও ওঠেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা সংক্রমণ থামাতে বিদেশ থেকে আসা মানুষজনরে উপরে বিশেষ নজর দিয়েছিল রাজ্য সরকার। ডিসেম্বর মাসে রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া গাইডলাইনে বলা হয় বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের বাধ্যতামূলক ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে(Institutional Quarantine) থাকতে হবে। কিন্তু সেই প্রটোকল ভাঙার অভিযোগ উঠল ওমিক্রন আক্রান্ত এক দম্পতির বিরুদ্ধে।
গত ৩ জানুয়ারি ফ্রান্স থেকে কলকাতায় ফেরেন কলকাতার এক নামজাদা চিকিত্সকের মেয়ে-জামাই। শহরে ফিরে তাঁরা করোনা আক্রান্ত হন। ভর্তি হন দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। তাদের করোনা টেস্টের জিনোম সিকোয়েন্সের রিপোর্ট আসে ৯ জানুয়ারি। দেখা যায় তাঁরা ওমিক্রন(Omicron) আক্রান্ত।
এদিকে, ওমিক্রন রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরদিনই বেলেঘাটা আইডি যাবেন বলে তাঁরা ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে নেন। হাসপাতালে যাবেন বলে তাঁরা অ্যাম্বুল্য়ান্সেও ওঠেন। কিন্তু বেলেঘাটা আইডি সূত্রে জানা গিয়েছে তাঁরা সেখানে যাননি। ফলে প্রশ্ন উঠেছে যখন এখনও বাধ্যতামূলক ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাই বিধি চালু রয়েছে তখন একজন চিকিত্সকের আত্মীরা এটা করলেন কীভাবে।
আরও পড়ুন-গড়ে রোজ ১২-১৪ শিশু আক্রান্ত, Midnapore Medical-এ শিশুদের জন্য পৃথক Covid ওয়ার্ড
ওমিক্রন আক্রান্ত একজন রোগী হাসপাতালে থাকলে তা নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালের দায়িত্ব কী? ওই বেসরকারি হাসপাতাল তরফে জানা যাচ্ছে, এই ধরনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলে ট্রান্সফারের ব্যবস্থা করা হয়। ওই দম্পতির ক্ষেত্রেও তারা সেটাই করেছিলেন। ডিসচার্জ করার প্রয়োজনীয় নথি তৈরি করে ওই দুজনকে বেলঘাটা আইডি হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স তুলে দেওয়া হয়। এদিকে, বেলেঘাটা আইডির(Beleghata I D Hospital) তরফে বলা হচ্ছে ওইরকম কোনও অ্যাম্বুল্যান্স তারা পাঠাননি। সেটি কোনও সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স হতে পারে।
ওই দম্পতি কোথায় রয়েছেন তা সকালের দিকে জানা না গেলেও সন্ধের দিকে জানা যায় বাড়িতেই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন তাঁরা। এমনটাই জানিয়েছেন মহিলার চিকিৎসক বাবা। তাঁর বক্তব্য, “রাজ্য সরকারের গাইডলাইন আপডেটেড নয়। আমি কেন্দ্র সরকারের ৭ দিন আইসোলেশনের পর বাড়ি যাওয়ার নিয়ম মেনে মেয়ে-জামাইকে নিয়ে গিয়েছি।” যদিও, হাই রিস্ক দেশ থেকে আসা ওমিক্রন আক্রান্তদের ক্ষেত্রে বিধির বদল হয়নি রাজ্যে। এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেটা না মেনে তিনি বিধি ভঙ্গই করেছেন